নোট নিষেধাজ্ঞা : প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন মোদী
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য রাতারাতি ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করার পরে জীবন সংশয়ের আশঙ্কা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, জীবন্ত পুড়িয়ে মারলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তিনি থামাবেন না। ভারত সরকার জোর দিয়ে বলছে, জাল টাকা এবং কালোটাকার রমরমা রুখতে ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত জরুরি ছিলো। কিন্তু বিরোধী দলগুলি জনসাধারণের হয়রানির কথা তুলে ধরে পথে নেমেছে। সরকার উপযুক্ত প্রস্তুতি না নিয়ে কেন এই পদক্ষেপ করল, বিরোধীদের তরফে সেই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। মোদী সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই সমালোচনা নস্যাৎ করতে রবিবার অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মনোভাব নিয়েই মুখ খুললেন তিনি। রোববার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে মোদী বলেন, ‘আমি জানি অনেক শক্তি আমার বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছে, তারা হয়তো আমাকে বাঁচতে দেবে না, তারা হয়তো আমাকে ধ্বংস করে দেবে। কারণ ৭০ বছর ধরে তারা যে লুটতরাজ চালাচ্ছিল, তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি প্রস্তুত।
ট্রাম্পকে ন্যাটো প্রধানের সতর্কবার্তা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেন, একলা চলো নীতি অনুসরণ করে ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ থাকতে পারবে না। নির্বাচনী প্রচারণার সময় সবচেয়ে সংগঠিত ও শক্তিশালী সামরিক জোট ন্যাটোকে বাতিল সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেন ট্রাম্প। ন্যাটো জোটের কোনো সদস্য কোনো দেশের ওপর আক্রমণ সংস্থাটির সদস্য সব দেশের ওপর আক্রমণ বলে বিবেচনা করে। কিন্তু ট্রাম্প বলেন, তার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যদি সঠিকভাবে তার প্রাপ্য না বুঝিয়ে দেয়া হয় তাহলে আক্রমণের শিকার কোনো মিত্র দেশের সহায়তা দেয়ার বিষয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন তিনি। কারণ ন্যাটোর ব্যয়ভারের ৭০ শতাংশ বহন করে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী নীতির প্রতি ইঙ্গিত করে যুক্তরাজ্যের অবজার্ভার সংবাদপত্রে লেখা একটা কলামে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, গত কয়েক প্রজন্মের সবচেয়ে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ আরো বাড়ানো প্রয়োজন উল্লেখ করে স্টলটেনবার্গ বলেন, মার্কিন নেতৃত্ব সবসময় স্থিতিশীল ও নিরাপদ ইউরোপ নিশ্চিত করতে কৌশলগত সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একলা চলো নীতি অনুসরণ সম্ভব নয়। আমরা আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুকির সম্মুখীন। এখন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মূল্য নিয়ে কথা বলার সময় নেই।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী সংঘর্ষ : নিহত ৮
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে আটজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির সরকারের ধারণা এদের সবাই রোহিঙ্গা। গতকাল রোববার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাখাইনের উত্তরের গ্রমাগুলোতে এই সংঘর্ষ হয়। এতে একজন কর্মকর্তা ও একজন সৈন্য নিহত হন। সংঘর্ষের পর ছয়জন হামলাকারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলেছে, শনিবার সকালে বন্দুক, ছুরি ও বল্লম নিয়ে সরকারি বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। জবাবে সেনাবাহিনী গুলি ছোড়ে। গত ৯ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাখাইনের উত্তরে মিয়ানমারের সৈন্য অবস্থান করছে। কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে রোহিঙ্গারা হামলা চালানোর পর এই সৈন্য পাঠানো হয়। ঐসব এলাকায় সাংবাদিক কিংবা সাহায্যকর্মীদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানকার বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, বাড়িতে বাড়িতে আগুন, ধর্ষণ ও হত্যা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। অবশ্য সরকার ও সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাকিস্তানে মাজারে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২
মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের শাহ নুরানি মাজারে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জন হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে কমপক্ষে ১০২ জন আহত হয়েছে। সুফিবাদী মুসলমানদের কেন্দ্র শাহ নুরানি মাজারের ‘ধামাল’ (সুফি আচার) করার জায়গায় এই হামলা হয়। ইসলামিক স্টেট নামধারী জঙ্গি গোষ্ঠীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামলা স্থলের আশেপাশে কোনো হাসপাতাল না থাকায় জরুরি সেবা প্রদান করতে সমস্যা হয়। আহত ব্যক্তিদের করাচিতে নেয়া হয় চিকিৎসার জন্য। বেলুচিস্তান প্রদেশ নিয়মিত জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। গত অক্টোবরে কোয়েটা শহরে একটি পুলিশ কলেজে হামলায় ৬১ জন নিহত হয়। এর আগে গত আগস্টে কোয়েটার একটি হাসপাতালে আত্মঘাতী হামলায় ৭০ জন নিহত হয়।