প্রতিকার না পেয়ে একসাথে প্রায় ৫০ ছাত্রের মাদরাসা ত্যাগ

 

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: চরমোনাই পরিচালিত চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ জামিয়া কারীমিয়া বহুমুখি ক্যাডেট স্কিম কাওয়ামি মাদরাসার প্রিন্সিপালের (নায়েবে মোহাতামিম) বিরুদ্ধে ছাত্রদের নির্যাতন, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ লিখিতভাবে কমিটির নিকট জানানোর পর কোনো প্রতিকার না পেয়ে একসাথে মাদরাসা ত্যাগ করেছে প্রায় ৫০ ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে।

মাদরাসার অভিযোগকারী ছাত্ররা জানিয়েছে, মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুস ছালাম তাদের বিভিন্ন সময় গ্রামে গ্রামে কালেকশনের জন্য পাঠান। কালেকশন ভালো না হলে মাদরাসার খাবার বন্ধ করে দেন। আবার টাকা দিয়ে যে খাবার খাওয়া হয় তাও অত্যান্ত নিম্নমানের। মাদরাসার নিয়ম অনুযায়ী গরির ছাত্রদের ফ্রি খাবার দেয়ার কথা কিন্তু মাদরাসার প্রত্যেক ছাত্রকে টাকা দিয়ে খাবার খেতে হয়। মাদরাসার প্রিন্সিপালের আত্মীয়দের ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এ সকল বিষয়ে প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদী ছাত্রদের মারধর করা হয়। শুধু তাই নয় কোনো শিক্ষক ছাত্রদের পক্ষে কথা বললে তাদের মাদরাসা থেকে বাদ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অজুহাত খুঁজে বেড়ায়। অভিযোগকারী ছাত্ররা আর বলেন, যখন প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় তখন মাদরাসা কমিটির সভাপতি হাজি আনছার আলী মালিথা প্রিন্সিপালের পক্ষ নিয়ে ছাত্রদের মারধর করা ও মাদরাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য শাসিয়ে দেন। এরপর মাদরাসার প্রিন্সিপালকে অপসারণ করার জন্য গতকাল ডিঙ্গেদহ বাজারের বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার মারা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় মাদরাসা কমিটির সভায় প্রিন্সিপাল আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রায় ৫০ ছাত্র তাদের ব্যাগপত্র নিয়ে মাদরাসা ত্যাগ করে। মাদরাসার ৫০ ছাত্র একসাথে মাদরাসা ত্যাগ করলেও তাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কমিটি কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় হতবাক এলাকার সচেতন মহল। এলাকার অনেকের প্রশ্ন মাদরাসায় কি কোনো আর্থিক বিষয় আছে? প্রিন্সিপালকে অপসারণ করলে জানাজানি হয়ে যাবে? আর্থিক বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সদর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকার সচেতনমহল। এ ব্যাপারে মাদরাসার সভাপতি হাজি আনছার আলী ও মাদরাসার প্রিন্সিপাল আব্দুস ছালামের নিকট জানতে চাইলে তারা অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।

 

Leave a comment