আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ অবমাননাকারী গ্রেফতার : ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অবশেষে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ অবমাননাকারী রাসেল পারভেজ নামে এক যুবককে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরের চন্দনা হোটেলের পাশ থেকে গ্রেফতার করে।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি অবমাননাকারী যুবক রাসেল পারভেজকে গ্রেফতারের জন্য কয়েকদিন ধরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ  অভিযান চালিয়ে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম শহরের সোনালী ব্যাংক ও চন্দনা হোটেলের মাঝামাঝি স্থান থেকে তাকে আটক করে। তাকে গ্রেফতারের সংবাদ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অপকর্মের জন্য ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পাবলিক নুইসেন্স আইনে তাকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাসেল পারভেজ আলমডাঙ্গা উপজেলার বকশিপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন, এসআই গফুর, এসআই আফজাল হোসেন, এসআই মহব্বত আলীসহ সঙ্গীয় ফোর্স। গতকালই তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গত ১৯ অক্টোবর আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভকে অবমাননা করে রাসেল পারভেজ একটি যৌন উত্তেজনাকর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে। এই ঘটনায় রাসেলের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠে আলমডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র ও সাম্প্রতিকী ডটকমের আয়োজনে এবং স্বয়ম্ভর লাইব্রেরির সহযোগিতায় স্বাধীনতা স্তম্ভ ৭১ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করলে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল বেলা ১১টায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাসেল পারভেজকে আটক করে।

Leave a comment