শরিফুল ইসলাম রোকন: বর্তমান সারা বিশ্বের আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। প্রায় বড় বড় শহরে গেলেই দেখা যায় বাসার সামনে ভ্যানে করে সবজি বিক্রয় করে বেড়াচ্ছেন। আমাদের শহরে সেটা চালু নেই। বর্তমানে করোনা মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি ইউএনও আলমডাঙ্গা ফেজবুক পেজে প্রতিটি ভ্রাম্যমান ন্যায্য মূল্যে সবজি দোকানদারের মোবাইল নাম্বার ও তার নাম দিয়ে দিচ্ছেন। যেন মানুষ ঘরে বসে মোবাইল করে তার দরজার সামনে দোকানদারকে ডাকতে পারে। শুক্রবার চালু করা হয়েছে ভ্রাম্যমান ন্যায্য মূল্যের সবজির দোকান। পরীক্ষামূলক ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্দেশে প্রাথমিকভাবে একটি ইজি বাইক ও একটি পাখি ভ্যানে আলু, পিয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিজ, পটল, করলা, খিরা, লাল শাক, ঝিংগা, পুঁইশাক, লাউ, কাঁচকলা, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, ঢেরস, সজনের ডাটা নিয়ে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। প্রথম দিনে কয়েক কেজি করে সবজি ক্রয় করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকালে কাঁচা বাজারের আড়তে গিয়ে এসব সবজি ক্রয় করে দেন। পরে দুটি ড্রাইভার তার বিক্রয় করতে বের হয়। প্রতিটি গাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী স্বাক্ষরিত ন্যায্য মূল্য তালিকা দেয়া আছে। বাজারের তুলনায় সব সবজির দাম কম ও ঘরে বসেই সবকিছু পাওয়ার কারণে প্রথমদিনেই ভ্রাম্যমান ন্যায্য মূল্যের সবজির দোকান নিয়ে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই তা শেষ হয়ে যায়। আজ শনিবার থেকে চারটি ভ্রাম্যমান ন্যায্য মূল্যের দোকান শহরে বের হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন আলী জানান, শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় ও মেডিসিন ছাড়া সব দোকান বন্ধ । সবজি বাজার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত যে কারণে সবজি বাজারে অতিরিক্ত মানুষের সমাগম হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এর চেয়ে আর ভালো উপায় নেই। যে কারণে নিজ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ন্যায্য মূল্যের সবজি বাজার চালু করা হয়েছে। সকালে আড়ৎ থেকে সবজি ক্রয় করার পর মূল্য তালিকা করে প্রতিদিন যে ক’টা গাড়ি বের হবে তাদের নাম ও মোবাইল নাম্বার ইউএনও আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা ফেজবুক পেজে দেয়া থাকবে। কারণ মোবাইল করে ন্যায্য মূল্যের দোকান যেন তার দরজায় নিতে পারে। তিনি আরও বলেন, এছাড়ার শহরে নিজ উদ্যোগে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ভ্রাম্যমান ন্যায্য মূল্যের সবজির দোকান চালু করতে পারবে এবং তাকে স্বাগত জানানো হবে। ফোন করলেই সবজির দোকান আপনার দরজায়।