স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের নিচের বাজার আস্তে আস্তে দুর্গন্ধের বাজারে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ বাজারে গেলেই দুর্গন্ধের কারণে স্বস্তিতে অবস্থান করতে পারেন না। এ সংবাদে গতকাল বুধবার দুপুরে বাজারে হাজির হন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু। সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি ও জেলা দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। সকলে মিলে খুঁজে বের করলেন সমস্যা ও একইসাথে তার সমাধান। এ সময় দেখা যায় আসলে মূলত ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা-আবর্জনা ও মাছ, গরু-ছাগল, হাস-মুরগীর উচ্ছিষ্টাংশ থেকে ময়লার ড্রেন বন্ধ হয়ে যায়, যার দরুণ ময়লা পানি ও আবর্জনা যেতে না পারা এবং যত্রতত্র উচ্ছিষ্টাংশ ফেলার কারণে সৃষ্ট হচ্ছিলো দুর্গন্ধের। পরে পৌর মেয়রের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনাসভা। এ সময় মেয়র বলেন, শুধু পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সকল কিছু করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। আমাদের সকলের যৌথ প্রচেষ্টা ও সহোযোগিতায় সুস্থ-সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের বাজার ও একটি সুন্দর শহর গড়ে উঠবে। কিছু ব্যবসায়ীরা আছেন যারা বাজারেই গরু রাখার জন্য গোয়াল ঘর গড়ে তুলেছেন। আপনারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এগুলো অপসারণ করবেন। ব্যাবসায়ীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো ধরণের অসুস্থ ও মৃত গরু-ছাগল, হাস-মুরগী বিক্রি না করার জন্য। যদি তারা তা করেন এবং যথাযুক্ত প্রমাণ মেলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই সাথে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ও এ থেকে মুক্তিলাভের জন্য আমাদের সকলের উচিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হক জোয়ার্দ্দার লেমন, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আইয়ুব আলী বিশ্বাস, সেনেটারি ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান, কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর জুবায়েদ আহমেদ, জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের জগলু, সহসভাপতি মহিদুল ইসলাম ভাসা, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান খোকন, প্রচার সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান মতি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফসহ বড় বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা।