করোনা সতর্কতায় গণজমায়েত এড়ানো কথা থাকলেও মানছে না অনেকেই
স্টাফ রিপোর্টার: প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি ঘোষণা প্রথমদিনেই উপেক্ষা করে চুয়াডাঙ্গায় চলেছে পাঠদান, দু-একটি বাদে খোলা ছিলো অধিকাংশ কোচিং সেন্টার। এমনকি শিক্ষকেরাও তাদের বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রী পড়ানো বন্ধ করেননি। করোনা সতর্কতায় আইডিসিআর থেকে বারবার জমায়েত এড়ানোর কথা বলা হলেও কোচিং পাড়া ও ফুচকা হাউজ আর ফাস্টফুডগুলো দুপুর গড়িয়ে বিকেল অবধি জমজমাট ছিলো শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। গতকাল বুধবার বিকেল অবধি চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরে অন্তত ৩৫টি কোচিং, প্রাইভেট টিউশন এখনো খোলা রয়েছে। এর পাশপাশি ৬টি ফুচকা হাউজ ও ৭-৮টি ফাস্টফুড কোর্টে জমায়েত হচ্ছে কোচিং, প্রাইভেট পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা। ফলে করোনা ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে বলে অভিমত সচেতন অভিভাবকমহলের।
শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর নয়। জেলার অন্য ৩ উপজেলার চিত্র একই। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা বন্ধ হলেও চালু রয়েছে ব্যাচে পড়া বা প্রাইভেট। বিনোদন কেন্দ্র যা দু-চারটি এ জেলায় আছে সেখানে আসা মানুষের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। সেগুলোও রমরমা।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সাইফুল্লাহ্ রাসেল জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব ধরনের জনসমাগম, একসাথে দুজনের বেশি কমপক্ষে আগামী ২১ দিন সম্পূর্ণ পরিহার করে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম মাথাভাঙ্গাকে জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন করতে জেলা পুলিশ কাজ করছে। কেউ কোচিং চালালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তা আজ থেকেই।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে ১৮ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা যাতে বাসায় অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের অনুরোধ করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া চিঠিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীকে রাস্তায় ঘুরতে দেখলে তাদের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।