স্টাফ রিপোর্টার: ‘মুজিববর্ষে জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০০টি করে গাছের চারা রোপণ করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলো জেলা প্রশাসন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠানসূচি পুনর্বিন্যাস ও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।’
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি আরও বলেন, যেহেতু কর্মসূচি কিছুটা কমেছে, তাই জেলাব্যাপী আলোকসজ্জার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়েও আলোকসজ্জা করলে ভালো হয়। সূর্যোদ্বয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা করা হবে। পরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা পর্যায়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে অভিযান শুরু হয়েছে তা চলমান রাখতে হবে। মূলত নিজে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকেও সচেতন করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গণজমায়েত যেন কম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে বিগত সভার কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামিম কবির, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক সরদার আল আমিন, জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম প্রমুখ। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিগণ তাদের দাফতরিক কর্মকা- উপস্থাপন ও সমন্বয় করেন। পরে সভায় উপস্থিত সকলকে করোনাভাইরাসের লক্ষণ ও মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট বিতরণ করে জেলা প্রশাসন।