‘হ্যান্ডশেক এড়ানো তো বড় মুশকিল’

স্টাফ রিপোর্টার: পরিচিত বা অপরিচিত মানুষকে সম্ভাষণ জানানোর খুব প্রচলিত রেওয়াজ হলো করমর্দন বা হ্যান্ডশেক। শিষ্টাচার বিধিগুলোর অন্যতম একটি হলো করমর্দন। প্রাচীন কাল থেকেই করমর্দন বা হ্যান্ডশেকের রেওয়াজ চলে এসেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা এড়াতে হ্যান্ডশেক করতে বারণ করা হয়েছে। তার কারণ ছোঁয়াছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছেন আরো অনেকে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতেই আধিকাল থেকে প্রচলীত সেই হ্যান্ডশেক বারণ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া এ জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন শনিবার মিরপুর শেরেবাংলায় বাংলাদেশ দলের ওয়াডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল অনুশীলন এসে জানালেন, হ্যান্ডশেক বাদ, করবেন এলবোশেক! মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে হ্যান্ডশেকের বিকল্প সারলেন তামিম। জাতীয় দলের তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান বলেন, হ্যান্ডশেক এড়ানো তো বড় মুশকিল। করোনাভাইরাস আতঙ্কে হ্যান্ডশেক এড়ানোর পাশাপাশি ক্রিকেটারদের নির্দিষ্ট বিরতিতে হ্যান্ড স্যানেটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বে ছড়িয়ে পরা করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের তারকা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা নিয়ে সত্যিই এখন আতঙ্কে আছি। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কোন সমস্যা হলে আমাদের থেকে তো পরিবারও আক্রান্ত হবে। সব কিছুর উপরে তো জীবন। জাতীয় দলে সাবেক হয়ে যাওয়া তারকা স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র বলেন, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তবে আমাদের খেলাটা যেন বন্ধ না হয়, আশা করি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।