ক্লিনিকে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে ম্যানেজারকে লাঞ্ছিত : থানায় অভিযোগ
দর্শনা অফিস: হৃদরোগে আক্রান্ত দর্শনা শ্যামপুরের রফিকুল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় রফিকুলকে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে মর্ডান ক্লিনিকে চালানো হয়েছে হামলা। করা হয়েছে ভাঙচুর ও লুটপাট। ম্যানেজারকে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে হামলাকারীরা। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় করা হয়েছে অভিযোগ। আজ দায়ের করা হতে পারে মামলা। দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর সরদারপাড়ার চায়ান আলীর ছেলে প্লিম্বার মিস্ত্রি রফিকুল ইসলাম ওরফে রইফে (৪৫) গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। রইফের চিকিৎসার জন্য প্রথমে নেয়া হয় দর্শনা মুক্তি ক্লিনিকে। মুক্তি ক্লিনিকের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি বুঝে দ্রুত হৃদরোগ চিকিৎসকের কাছে নেয়ার পরামর্শ দেন। কোনো প্রকার গাফিলতি না করে যতো দ্রুত সম্ভব চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল বা হৃদরোগ চিকিৎসক আবুল হোসেন অথবা পরিতোষ কুমারের কাছে নেয়ার জন্য রোগীর সদস্যদের বলেন ডা. রফিকুল ইসলাম। রোগীর পরিবারের সদস্যরা রইফেকে চিকিৎসার জন্য নেন দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে। ক্লিনিকের চিকিৎসক তারিকুল আলম রোগীর অবস্থা বেগতিক বুঝে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রেফার করেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকুল ইসলাম ওরফে রইফের মৃত্যু হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এদিকে রইফের মৃত্যুর খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে হামলা চালান তার পরিবারের সদস্যরা। হামলাকারীরা ক্লিনিকে ভাঙচুর, মারধর ও লুটপাট করেছে মর্মে ডা. তারিকুল ইসলামের ভাগ্নে আলাউদ্দিন ইউসুফ আলো দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুপুর ২টার দিকে শফিকুল, সাব্বির, রাব্বি, বাপ্পি, রুমন ও সিজারসহ আরও ৮-৯ জন হামলা চালিয়ে ক্লিনিকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এসময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে ক্লিনিকের ম্যানেজার তরিকুল ইসলামকে (৪০) পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হামলাকারীরা। হামলাকারীরা ক্লিনিকের অফিসকক্ষের ড্রয়ার থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ডা. হোসনে আরা জারি আখি ও ডা. তারিকুল আলম বলেন, রোগীর অবস্থা মারাত্মক বুঝে তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ করে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। যতো দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। আমাদের চিকিৎসায় বিন্দু মাত্র ত্রুটি ছিলো না। ফলে অহেতুক আমাদের ক্লিনিকে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমাদের ম্যানেজারকে রক্তাক্ত জখম করেছে হামলাকারীরা। ফলে ডা. আখিতারা আজ রোববার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান। এদিকে ১ সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম রইফের লাশ গতকালই মাগরিব বাদ স্থানীয় গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।