চুয়াডাঙ্গা প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ১১ ভেড়া ও তিনটি ছাগলসহ ভেড়ামালিক সোনা নিহত

মুন্সিগঞ্জের কাছে অপর দুর্ঘটনায় বালুবোঝাই ট্রাকের চালক গুরুতর আহত
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় ১১ ভেড়া তিনটি ছাগল ও ভেড়ার মালিক সোনা মিয়া নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। গতকাল শুক্রবার সকাল ও একই দিন বিকেলে পৃথক স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোনা মিয়া (২৭) চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকাধীন হাজরাহাটি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের রোয়াকুলি মাঠ নামক স্থানে বালিবোঝাই ১০ চাকার ট্রাক (ঝিনাইদহ-ট-১১-১৫০৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। ট্রাকের সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ট্রাকচালক ঝিনাইদহের পাগলা কানাই গ্রামের নুর নবীর ছেলে ট্রাকচালক বিপ্লব (৩৫) ট্রাকের স্টারিং এ আটকা পড়েন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট প্রায় ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আহত অবস্থায় চালক বিপ্লব উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ট্রাকের হেলপার যশোরের কোতোয়ালী থানার দোলেরনগর গ্রামের আসাদের ছেলে বাপ্পী জানান, পঞ্চগড় থেকে বালি বোঝাই করে আসার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তারা। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা দুইটি ইউনিট একযোগে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হয় এবং চালককে উদ্ধার করা হয়েছে।
অপরদিকে, বিকাল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি পটলাপীরের দরগার সামনে দ্রুতগামী প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ১১ ভেড়ার মৃত্যু হয়। এঘটনায় তিনটি ছাগল মারা যায়। হাজরাহাটি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ভেড়া মালিক সোনামিয়া প্রাইভেটকারে ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস সোনা মিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেয়ার পথে নাটরের বনপাড়া এলাকায় পৌঁছুলে সোনা মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে সদর থানা পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী হাজরাহাটি গ্রামের মৃত সালাম আলীর ছেলে ইসলাম জানান, হাজরাহাটি পটলা পীরের দরগার সামনে ভেড়াগুলো চরে বেড়াচ্ছিলো। এ সময় দ্রুতগতির (ঢাকা মেট্রো গ-২৪৫৩) একটি প্রাইভেটকার ভেড়াগুলোকে চাপা দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। এসময় ভেড়া মালিক সোনামিয়া ভেড়াগুলোকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনি গুরুতর জখম হন। প্রাইভেটকারের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় আছড়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অপরদিকে, প্রাইভেটকার চালক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে সোনা মিয়ার লাশ হাজরাহাটি গ্রামে পৌঁছুলে লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট করেন সদর থানার এসআই মেফাউল হাসান।