কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কামালহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পরিবার দোষীকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ শাস্তির দাবি করেছেন।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কামালহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের্^ বসবাসরত মৃত ছামছুদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনো (৫০) নামের এক লম্পট প্রায়ই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অশালীন আচরণ, কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে স্কুলের শিক্ষকবৃন্দের আলোচনার মাধ্যমে একাধিকবার তাকে সতর্ক করা হলেও গত শনিবার ৪র্থ শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং পাশের পান বরজের ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করে। সেসময় অন্য দুই শিক্ষার্থী দেখে ফেলায় তাদেরকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনিল কুমার ভদ্র এর কাছে শিক্ষার্থীরা ঘটনার কথা বলে।
এ ব্যাপারে কামালহাট গ্রামের সুমন নামের এক ব্যক্তি জানান, ইতিপূর্বে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের ঘটনা অনেক বার ঘটিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তার কেউ সঠিক বিচার করতে পারে না। তাই আমি প্রশাসনকে বলবো এমন ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ততমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
আনোয়ার হোসেন ওরফে আনোর বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার স্ত্রী বলেন, তিনি আত্মগোপনে আছেন। বিষয়টি মিথ্যা। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কামালহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল কুমার ভদ্র বলেন, এটি একটি নেক্কারজনক ঘটনা। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর আলাদা আলাদা অভিযোগ রেকর্ড করা হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাছাড়াও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকদের সকলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দেয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।