আলমডাঙ্গার জামজামি বাজারে মরা গরুর মাংস বিক্রি
কেএ মান্নান: আলমডাঙ্গার জামজামি বাজারে সন্ধ্যায় মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে কসাই কাশেমের (৪৭) ২ মাসের কারাদ- ও সহযোগী ঝন্টুকে (৩০) ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্থানীয় জনতার দাবির মুখে কসাই ও সহযোগীকে পুলিশ আটক করা হয়। এ খবরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলীর নেতৃত্ব মোবাইলকোর্ট গতরাত সাড়ে ৮টায় দোষীদের দ- দেন। এ সময় মাংস মাটিতে পুতে দেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি গ্রামের আলিমদ্দীন ম-লের ছেলে কসাই আবুল কাশেম ও মৃত কালাচাঁদ ম-লের ছেলে সহযোগী ঝন্টু জামজামি বাজারের ঝাউতলা ঘাটে গতকাল সন্ধ্যায় ৪শ’ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে থাকেন। ক্রেতা সাধারণ অল্প দামে মাংস পেয়ে ভিড় জমায়। পঁচা দুর্গন্ধ পেয়ে ক্রেতাদের মাঝে শুরু হয় কানাকানি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই আব্দুল হাকিম ও এসআই রিয়াজুলসহ সঙ্গীয় ফোর্স। মাংসের দুগর্ন্ধ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদকালে কসাই সদোত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। এ সময় কসাই কাশেম ও সহযোগী ঝন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। ততোক্ষণে স্থানীয়দের দেয়া খবরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলীর নেতৃত্বে উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি সংশ্লিষ্ট ব্রেঞ্চ সহকারী শরিফুল ইসলাম ও জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ উৎসুক মানুষের উপস্থিতি সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থলে মোবাইলকোর্ট অভিযান শুরু হয়।
এ সময় মরা গরুর মাংস বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৯ ধারায় কসাই আবুল কাশেমকে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। সহযোগী ঝন্টুকে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ে মুক্তি দেয়া হয়। কসাই আবুল কাশেম বলেছে, তিনি ইবির কন্দর্পদিয়া থেকে ৮০ হাজার টাকায় মোটাতাজা গরু কিনে ফেরার সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে আলমসাধুর ওপরে জবাই দেয়া হয়। পশু সম্পদ কর্মকর্তা জানান, জীবিত গরু জবাই দিলে এতো দুর্গন্ধ হতে পারে না।