মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আমিরপুর গ্রামের রেলগেটপাড়ায় ১ সন্তানের জননীকে ফুঁসলিয়ে ৬ বছর ধরে দেহভোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সকাল বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আমিরপুর গ্রামের রেলগেটপাড়ার তানজিলের স্ত্রী ১ সন্তানের জননী মন্জুরা বেগম (৩০) বিয়ের দাবিতে একই গ্রামের মৃত ফারুক আলীর ছেলে মুদিব্যবসায়ী আলমগীরের বাড়িতে অনশন করছেন। মন্জুরা বেগম অভিযোগ করে জানান, গত ৬ বছর আগে আলমগীর বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্তসহ বিয়ের প্রস্তাব দিতে থাকে। তার কারণে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। কিছুদিনের মধ্যে তার সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ি সে। গত ৬ বছর আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়ি এসে শারীরিক সম্পর্ক করে আলমগীর। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হোটেলে ও আত্মীয় বাড়িতে নিয়েও শারীরিক সম্পর্ক করে সে। চুয়াডাঙ্গার হোটেল ও গ্রামের মানুষের হাতে কয়েকবার ধরাও পড়ে তারা। গতকাল শনিবার সকালে আমাকে বিয়ে করবে বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে আলমগীর। তিনি আরও জানান, আলমগীরের কারণে আমার সোনার সংসার ভেঙে গেছে। এখন আমি কোথায় যাবো?
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরকিয়া প্রেমের এ ঘটনা গ্রামের সবাই জানে। মনজুরাকে গ্রামবাসী তার স্বামীর বাড়িতে দিয়ে এলেও আবারও প্রেমিকের বাড়ি ফিরে আসে সে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী আলমগীরের বিরুদ্ধে ফুঁঁসে উঠেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলমগীর পলাতক ছিলো। প্রেমিকা মঞ্জুরা তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছিলো।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আমরা একটি অভিযোগ পায় যে এক নারী তার কথিত প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।