আলমডাঙ্গার ব্রাইট মডেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থিদের সংবর্ধনানুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন –
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ব্রাইট মডেল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ, কৃতি শিক্ষার্থিদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইয়াহ ইয়া খান। এ সময় তিনি বলেন, ব্রাইট মডেল স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থিরা এখন দেশের অনেক নামী প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে। এটা যেমন এ প্রতিষ্ঠানের গৌরব, তেমনি এ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদেরও গর্বের বিষয়। আজকের শিক্ষার্থিরাই আগামি দিনের ভবিষ্যৎ। আগামি দিনের এই ভবিষ্যতকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে, ভাল মানুষ হিসেবে ও যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, বিশ্বব্যবস্থা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বের এই প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল অবস্থায় যোগ্যতার সাথে, সন্মানের সাথে টিকে থাকতে হলে নিজেকেও সেভাবে যোগ্যতর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তোমাদের ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। শুধুমাত্র ভাল ফলাফলই ভাল মানুষের একমাত্র মাপকাঠি না। মানবিক গুণাবলি অর্জন করতে হবে।
ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরোর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু বলেন, সদিচ্ছা একটা মানুষকে কত সাফল্যম-িত করতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরক। তিনি বলেন, শুধু ভাল ছাত্র হলেই হবে না – ভাল মানুষ হতে হবে। ভাল মানুষের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী বলেন, আঞ্চলিক শিক্ষার ক্ষেত্রে আলমডাঙ্গা ব্রাইট মডেল স্কুল একটা উদাহরণ হিসেবে পরিগনিত হতে পারে। বিদ্যালয়ের বাইরেও যেন ব্রাইট মডেল স্কুলের শিক্ষার্থিদের আচরণ কাঙ্খিত হয়, লেখাপড়ার মতই অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। গুরুজনদের শ্রদ্ধা ও সন্মান করতে শিখতে হবে। মানবিক গুণাবলি সমৃদ্ধ প্রকৃত মানুষ হতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক অভিভাবক নিজেদের পছন্দ অপছন্দ সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন। ভাবেন, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারলে সন্তানের ভবিষ্যৎ বুঝি শেষ হয়ে গেল। এমনটি ভাববেন না।কারণ পেশার জন্য এখন সারা বিশ্ব উন্মুক্ত। অতোটা ভাল রেজাল্ট না করেও তথ্য প্রযুক্তিতে অনেকেই পৃথিবীকে লিড দিচ্ছে। বিশেষ অতিথি আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান বক্তব্যে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু জিপিএ -৫ নয়, আপনাদের সন্তান এমনভাবে গড়ে তুলুন যেন সে প্রকৃত মানুষ হয়। মানবিক গুণাবলি অর্জন করে। কারণ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল সকলেই মেধাবী। কিন্তু তাদের নিকট থেকে জাতি কাঙ্খিত আচরণ পাচ্ছেনা। তাহলে কী হবে ভাল রেজাল্ট দিয়ে? তিনি শিক্ষার্থিদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে শিক্ষক ও বড়দের সন্মান করা শিখতে হবে।
প্রভাষক একেএম ফারুক হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আমজাদ হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান, মাধ্যমিক একাডেমি সুপার ভাইজার ইমরুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সম্পাদক কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন, প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, ফজলুল হক শামীম, নুরুল ইসলাম দিপু, আবুল কাসেম মোল্লা, তৈয়ব আলী, স্কুল অব লরিয়েটসের পরিচালক আব্দুর রহমান খান, আবু আহাম্মদ আশরাফ জাহান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মীর কানজুল আরেফিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নুর মোহাম্মদ জকু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, প্রেসক্লাব সভাপতি শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক হামিদুল আজম, কুষ্টিয়া ব্যাংক এশিয়ার ম্যানেজার আবু হেনা হাসানুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, শিক্ষক মজনুর রহমান, মাহমুদুল হক খাঁন, মোহাম্মদ আলী, অভিভাবক উজ্জ্বল খন্দকার, বিজেশ কুমার রামেকাসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।