৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক : অবশেষে গর্ভবতী
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান এক কুমারী মা ও তার শিশু সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার হস্তক্ষেপে প্রতারক প্রেমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযুক্ত নাইমকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহারে জানানো হয়, সাধুহাটি ইউনিয়নের পোতাহাটি নতুনপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কিশোর ছেলে নাঈম একই এলাকার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় রাহেলা জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীর পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তখন নাঈম ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করে। ওই কিশোরী সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। বিচারের জন্য থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরণা দেয়। এর মধ্যে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ওই কিশোরীর বাড়িতে যান এবং খোঁজখবর নেন এবং এ প্রতিবেদককে জানান যতোদিন এর সুরাহা না হয়, ততোদিন ওই কিশোরী এবং তার সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন। শিশুটি কোনো অপরাধ করেনি। তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার পর প্রমাণ হবে শিশুটির বাবা কে? আদালত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানের জন্য মামলা করা হয়েছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষায় নাঈম শিশুর বাবা প্রমাণ হলে তিনি তা মেনে নেবেন।