স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় দু’সহোদর গ্যাঁড়াকলে পড়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত দুই ভাই মানিক ও রাজাকে আটক করেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সভাপতি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে উত্ত্যক্তকারীরা আটক হওয়ায় এলাকার অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য গিরীশনগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র রাজা মিয়া প্রায়ই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। গত মঙ্গলবারও সে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। কয়েকজন ছাত্রী এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নালিশ করে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ নিয়ে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায় রাজা ওই ছাত্রকে ক্লাসেই মারপিট করে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে নিয়ে দুপুরে বৈঠকে বসেন। বৈঠক চালাকালীন রাজা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য শাহ আলমকে ঘুষি মেরে। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এসময় রাজার বড় ভাই কথিত সাংবাদিক মানিক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশসহ সকলের ওপর চড়াও হয় এবং পরিস্থিতি ভিডিও ধারণ করতে থাকে। ভিডিও ধারণ করতে নিষেধ করায় মানিক আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পুলিশের উপস্থিতিতে রাজার বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করলে পুলিশ দুই ভাই মানিক ও রাজাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
এসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, রাজা ও মানিকের কাছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহায়। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। দেরিতে হলেও সাহস করে অনেকেই আজ মুখ খুলেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার মল্লিক অভিযুক্ত মানিক ও রাজার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন বলে থানাসূত্রে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের অত্যাচারে শিক্ষকসহ অনেক অভিভাবক অতিষ্ঠ ছিলো। কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে তাকেই ধরে হুমকিধামকি ও মারধর করতো।