শেষপর্যন্ত আদীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়নি

হাড়গোড়ের চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর আরও একটি সাফল্য

স্টাফ রিপোর্টার: রোগী যতোক্ষণ সুস্থ না হন; ততোক্ষণই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখেন। সুস্থ করে রোগীর মুখে হাসি ফোটানোই যেন দেশের স্বনামধন্য অর্থোপেডিক ট্রমা ও স্পাইন সার্জন প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নেশা। হাড়গোড়ের জটিল রোগে আক্রান্ত অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করে তিনি ইতোমধ্যেই উপমহাদেশের গবেষক চিকিৎসক হিসেবে খ্যাতিও অর্জন করেছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গারই কৃতীসন্তান। তার নিকট চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে হাসিমুখে আবারও বিদ্যালয়ের পথে হাঁটতে শুরু করেছে কিশোর আশফাক আদীব। এই আদীব দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসক একটি হাত কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে বললেও ডা. মেহেদী সেই হাত অক্ষত রেখেই তাকে সুস্থ করে তুলে স্থাপন করেছেন দৃষ্টান্ত।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের ছত্রপাড়ার ওয়াহিদ মিলন ও আরিফা আখতার আখির ছেলে ৬/৭ বছর বয়সী ছেলে আশফাক আদীব গত বছরের ২৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার শিকার হয়। বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আলমসাধুর ধাক্কায় আছড়ে পড়ে গুড়িয়ে যায় ওর হাড়গোড়। উদ্ধার করে প্রথমে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলেও সেখান থেকে রেফার করা হয় ঢাকায়। মেধাবী ছাত্র আদীব জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অনিশ্চয়তার প্রহর গুণতে থাকে। আদীবের নিকটজনেরা বলেছেন, এ অবস্থায় চিকিৎসকেরা বলেন, ওর ক্ষতবিক্ষত হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। একথা শুনে সকলে দিশেহরা হয়ে পাড়ি। অবশেষে প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানাই। তিনি চিকিৎসা দেয়া শুরু করেন। বিরামহীন চিকিৎসা দিয়ে আদীবকে তিনি সুস্থ করে তুলেছেন। আদীবের শরীরের কোনো অংশই বাদ দিতে হয়নি।
এ বিষয়ে প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের চিকিৎসা পেশায় নিবেদিত রয়েছি। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর চুয়াডাঙ্গায় বেশি বেশি সময় দিয়ে এলাকার রোগীদের সুচিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আদীবসহ অনেকেই সুস্থতা পেয়েছে মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায়। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহতায়ালার। শিশু আদীবকে সুস্থ করে ওকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পেরে খুবই খুশি।