গুলি খাবো : তারপরেও কাগজ দেখাবো না
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে সরব রয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। আইনটিকে তিনি মুসলিমবিরোধী আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নলের এক জনসভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একহাত নেন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।
তিনি বলেন, ‘গুলি খাবো, তারপরেও কাগজ দেখাবো না। আমি এই দেশেই থাকবো। আমাকে কাগজ দেখাতে বললে বলবো বুকে গুলি মার। আমার বুকে গুলি মার কারণ আমার হৃদয়ে ভারত। এখন তো মোদি-শাহের নিন্দা করলেই আপনি দেশদ্রোহী।’ নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতাকারীদের গুলি করে মারা হবে অনুরাগ ঠাকুরের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। ‘আমি অনুরাগ ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করছি, ভারতের যে কোনো জায়গা ঠিক করুন, যেখানে গুলি করে মারতে চান। আমাকে ডাকুন, আমি যেতে প্রস্তুত। আপনার এই ধরনের মন্তব্যে আমি ভয় পাই না। আমাদের মা-বোনেরা দেশকে রক্ষা করতে চায়। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে।’
পাকিস্তানের গুলিতে এক ভারতীয় সেনা নিহত : আহত ৩
মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে মুসলিম বিদ্বেষী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে এক ভারতীয় সেনা নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় বাহিনীর ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুই শিশু ও নারীসহ ১০ নাগরিক আহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তান এ পাল্টা হামলা চালিয়েছে বলে দেশটি দাবি করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, সংঘর্ষ বিরতি নীতি লঙ্ঘন করে গত ২৪ ঘন্টায় জান্দরুট ও নাকয়াল সেক্টরে কয়েকবার ভারতীয় বাহিনী আত্রমণ চালিয়েছে। আইএসপিআরের দাবি মতে, আজাদ কাশ্মীরের কোটলি জেলার কয়েকটি বসতি লক্ষ্য করেও হামলা করা হয়েছে। এর আগে শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হামলায় এক ভারতীয় সেনা নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রতিবেশী এ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ভারতে মুসলিমবিদ্বেষী সংশোধিত নাগরিকত্ব
আইন পাস হওয়ার পর ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধর্ষণ থেকে বাঁচলেন তরুণী
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মরণব্যাধি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দাবি করে ধর্ষণের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পেলেন এক তরুণী। ওই যুবক পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। শুক্রবার রাতে চীনের উহান থেকে তিন-চার ঘণ্টা পথের দূরত্বের শহর জিংসানের পিংবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবকের নাম জিয়াও (২৫)। গত শুক্রবার রাতে ওই তরুণী বাড়িতে একা ছিলেন। এ সুযোগে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েন জিয়াও। লুটপাটের পর ওই তরুণীকে ধর্ষণ করতে চেষ্টা করেন তিনি। এসময় ওই তরুণী চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি উহান থেকে ফিরে এসেছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আমি। তাই একা এই বাড়িতে আছি। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অন্যরা চলে গেছে।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি যুবককে ধাক্কা দেন। আর সঙ্গে সঙ্গে কাশি দেয়ার ভান করেন। আর এটা বিশ্বাস করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে লুটপাটের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যান জিয়াও। ভুক্তভোগী তরুণী দাবি করেছেন, ওই যুবক নগদ তিন হাজার ৮০ ইউয়ান (৩৩৮ ডলার) নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এদিকে পালালেও রক্ষা পাননি জিয়াও। পরে ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে জিয়াওকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াও এর কোনো অর্থ নেই, তাই তিনি চুরির পরিকল্পনা করেছিলো। আর যখন দেখেন ওই তরুণী বাড়িতে একা, তখন তিনি ধর্ষণে উদ্যত হন।
ভয়াবহ অগ্নিকা-ে যুক্তরাষ্ট্রে মাসহ ৬ শিশু সন্তানের মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির ক্লিনটন শহরের এক বাড়িতে আগুনে পুড়ে একই পরিবারের মা ও তার ছয় শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ওই আগুনে মৃতদের মধ্যে এক বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।