বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বজয়

দক্ষিণ আফ্রিকার পটচেস্টরুমের সেনউইস পার্কে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে পরাজিত করে আকাক্সিক্ষত ট্রফি জয় করেছে। এর আগে ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। ওই সময় আইসিসি চ্যাম্পিয়নদের যেমন সংবর্ধিত করা হয়েছিলো এবারও আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকে জমকালো সংবর্ধনা দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
কোন সাফল্যই সহজে আসে না। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর যে পরিশ্রম করেছে বিশ্বকাপ জয় তারই ফসল। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছে। পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। চার বারের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে বিশ্বসেরা হওয়া কম কথা নয়। এ জন্য ধর্য্য সাহস সবই লেগেছে। এরই মাঝে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার-আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান ও শাহাদাত হোসেন। রানার্সআপ ভারতেরও তিন ক্রিকেটার আছেন দলে। যাশাসবি জয়সাওয়ালের সঙ্গী রবি বিষ্ণুই ও কার্তিক তিয়াগি। ধীর মস্তিস্কে দারুণ ইনিংসে আকবর জিতেছেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। অবাক হলেও সত্য যে, এই আকবর যখন খেলার মাঠে নামে, তার একদিন আগেই তার এক বোনকে হারাতে হয়। এই শোককে যে সে দেশ্বের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষে শক্তিতে রূপান্তর করেছিলো তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। ব্যাটিংয়ে খুব একটা কিছু করতে হয়নি তাকে। উইকেটের পেছনে ছিলেন দুর্দান্ত। টুর্নামেন্টে তার ডিসমিসাল ছয়টি। তার ক্ষুরধার নেতৃত্ব নজর কেড়েছে টুর্নামেন্ট জুড়ে। একাদশের অধিনায়ক তিনিই। খেলায় জিততে হলে অবশ্যই দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এ জন্যও অধিনায়কের ভূমিকা অনেক। অনূধ্ব-১৯এর পর এবার জাতীয় দল বিশ্বজয়ের মুকুট বয়ে আনুক এ প্রত্যাশা অবশ্যই অমূলক নয়।
বাংলার দামাল ছেলেরা যেভাবে মাথা ঊঁচু করে বিশ্ববাসীর সামনে বাঙালি জতিকে পরিচয় করিয়ে দিলো তা গর্বের। এ গৌরব যাদের প্রচেষ্টার ফল, তাদের প্রাপ্য সম্মানে ভূশিত করতে না পারলে প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে কীভাবে? খেলাধূলায় আগ্রহী করতে উৎসাহ যোগানো অতিব জরুরি। ফলে বিশ্বকাপ জয়ী দলকে উপযুক্ত সম্মানে ভূষিত করা শুধু সরকারের নয়, দলমত নির্বিশেষে সকলের দায়িত্বেরই অংশ।