হাসেম রেজা: দামুড়হুদা উপজেলায় বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। চলিত মরসুমে কৃষক ধানের দাম ভালো পাওয়ার আশায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশি¬ষ্ট বিভাগ মনে করছে। বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলায় চলছে বোরো আবাদের মরসুম। আর বোরো আবাদের কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কুয়াশা ঢাকা শীতের সকাল হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। বিস্তীর্ণ মাঠ জুরে বোরো আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পরছেন কৃষকরা। যদিও গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলাগুলোতে। বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষবাদের কাজ চলছে পুরোদমে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা, কোথাও গভীর নলকুপ থেকে চলছে পানিসেচ, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ, গরু দিয়ে চলছে মাঠ সমান করার কাজ। আবার বোরো ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। কৃষকের ব্যস্ততায় শীত যেন তাদেরকে স্পর্শ করছে না। শরীরে রয়েছে হালকা পোশাক, মাথায় গরম কাপড়। সবমিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক। ধান রোপণের জন্য কিছু কিছু মাঠে জমির কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছর ধানের দাম কম হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকরা বোরো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। বর্তমানে ভুট্টা লাভজনক হওয়ায় চাষিরা ঝুকে পড়েছে ভুট্টা চাষে। এ জন্য ধারণা করা হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে এ বছর বোরো ধান আবাদ কম হবে। বর্তমানে ন্যায় শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মরসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজামান বলেন, এ বছর দামুড়হুদা উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।