মোস্তাফিজ কচি: সম্প্রতি বেশ কয়েকটি অগ্নিকা-ের পেছনে গ্যাস সিলিন্ডারের দায় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, পরিবহন, মজুদ ও ব্যবহারে সচেতনতার অভাব ও বিধিমালার তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। ব্যবসায়ী ও ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই জানেন না সিলিন্ডার ব্যবহারের নিয়ম ও সংরক্ষণের উপায়। আর যাদের এসব বিষয় দেখভালের কথা তারাও জনবল সংকটের অজুহাতে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে কোম্পানিগুলোকে আরও সচেতন ও আন্তরিক হতে হবে, বাড়াতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরের তদারকি ও নজরদারি। দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার প্রস্তুতকারক কোম্পানির মূল ডিলাররা সরকারি বিধি মানলেও খুচরা ব্যবসায়ীদের অনেকেই এসব বিষয় মানছেন না। বাজারে সিলিন্ডার বিক্রির দোকানগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এসব দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রেরও সংকট রয়েছে। এছাড়া, ফুটপাত ও রাস্তার ওপরেও দোকানিরা গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখছেন। কার্পাসডাঙ্গা বাজারে খাবারের হোটেল ও চায়ের দোকানগুলোতে দেখা যায়, চুলার একেবারে কাছাকাছি রেখে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ কেউ গ্যাস সিলিন্ডার মাটিতে শুইয়ে রেখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহিউদ্দিন বলেন ‘গ্রামাঞ্চলে গ্যাসের চাহিদা কম হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে। কিন্তু গ্যাস ব্যবহারের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’