চুয়াডাঙ্গায় মুজিববর্ষে একটিও বাল্যবিয়ে হতে দেয়া হবে না

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মুজিববর্ষে একটিও বাল্যবিয়ে হবে না। জেলায় বাল্যবিয়ে সংগঠিত না হয় সেজন্য ইউএনও ও চেয়ারম্যানদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সামান্য গাফিলতি পেলে জেল-জরিমানা করা হবে। শিক্ষকদের কাছ থেকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তথ্য পাওয়া গেলে বিয়ের দুই বছরের মধ্যেও শাস্তি দেয়া যাবে। নিকাহ রেজিস্ট্রোর বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত প্রমাণ পেলে ওইদিনই শেষ হয়ে যাবে তার লাইসেন্স।’ গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভায় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, বিজিবির পরিচালক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান-পিএসসি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পরভীন। সভায় জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন, জীবননগর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, এনএসআই উপপরিচালক জামিল সিদ্দিকী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মোল্লা আব্দুর রশিদ, ডা. আওলিয়ার রহমান, জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম, জেলা নিকাহ রেজিস্ট্রোর সভাপতি শামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, অ্যাড. আব্দুল মালেক ও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিনসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় যেসকল পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছাত্রীদের খোঁজখবর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেন। আলমডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রার বেলা ৩-৪টার সময় অফিসে বসেন। উনিতো সরকারি চাকরিজীবী। তাদেরকে ছাড় দেবেন না। শত শত মানুষ বসে থাকে। শুধু একদিন নয়। জেলা রেজিস্ট্রার আপনাকে কঠোর হতে হবে। অনিয়ম করার সুযোগ কোথায়? মৌজার রেট নিশ্চিত করেন। সবক্ষেত্রে যেমন পরিবর্তন এসছে, এখানেও আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন। সব রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি থাকবে না।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, দর্শনা চেকপোস্টে প্রত্যেক যাত্রীকে স্কেনিং করে দেশে ঢুকতে দিতে হবে। যদি কেউ বেরিয়ে আসে আমরা আক্রান্ত হবো। ২৪ ঘণ্টার জন্য এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেন। নারী যাত্রীদের জন্য নারী চিকিৎসক নিয়োগ দেন। সন্দেহজনক কিছু হলে সদর হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। সদর ইউএনও এবং দামুড়হুদা ইউএনও চেকপোস্ট পরিদর্শন করবেন। অটোগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যত্রতত্র অটো চলতে পারবে না। অটোর জন্য ১ মাস সময় দেয়া হলো। উপজেলা ভিত্তিক যে রং করার কথা রয়েছে তা আগামী ১ মাসের মধ্যে করতে হবে। পৌরসভার মেয়ররা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সীমান্ত এলাকায় কোনো গরুর ঘাটালের প্রয়োজন নেই বলেও সভায় জানানো হয়।
জেলার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে হাইওয়েতে অবৈধ যানবাহন চলাচল করবে না। পুলিশ জঙ্গি দমনে সফলতা পেয়েছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে। মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে। আলমডাঙ্গার মাদকবিক্রেতা মিনি, তার স্বামী ও মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হয়েছে। এ কাজে সবার সহযোগিতা চাই।