চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দফতরে হাজির হয়ে দর্শনার স্বস্ত্রীক রিপনের শপথ
দর্শনা অফিস ঃ ‘বিশ্বাস করুন স্যার। আমি আর কোনদিন মদ গাঁজা ফেনসিডিল বিক্রি করবো না। খাবও না। ছু্ইঁওে দেখবো না। এই আমি আমার স্ত্রীকে পাশে নিয়ে দু সন্তানের মাথায় হাত দিয়ে কসম কেটে শপথ করছি।’ দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুরের রিপন আলী গতকাল তার স্ত্রী সন্তানকে সাথে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের দফতরে হাজির হয়ে এ সফথ করে ভালো হওয়ার সুযোগ চায়। একই সাথে রিপনের স্ত্রীও শপথ নিয়ে বলেন, আমিও কোনদিন মাদকদ্রব্য বিক্রি করবো না, স্বামীকেও মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করতে দেবো না।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক শূন্যের কোটায় আনার ঘোষনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সহ আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যরা। এ দিকে চুয়াডাঙ্গাকে মাদক মুক্ত করণে উঠেবসে মাঠে নেমেছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। যেকোন মূল্যে মাদক মুক্ত চুয়াডাঙ্গা ঘোষনা করার লক্ষে তিনি জেলার সবকটি পুলিশ ইউনিটের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন মাদকের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান অব্যাহত রাখতে। পুলিশের এ কঠোর অবস্থানে কেউ কেউ লুকোচুরি করে মাদক কেনা বেচা ও পাচার করলেও অনেকেই এ পথ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদের মধ্যে দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর হল্টস্টেশনপাড়ার মান্দার শাহ’র ছেলে রিপন। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে রিপন সপরিবারে হাজির হন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের কার্যালয়ে। পুলিশ সুপারের সামনে নিজের দোষ স্বীকার করে, সুধরে গিয়ে ভালো হওয়ার সুযোগ চেয়ে স্ত্রী ও দুসন্তানের মাথায় হাত রেখে ওয়াদা করেন আর কখনো মাদক কেনা বেচা করবেন না। অপরদিকে গত ৩/৪ দিনের ব্যবধানে একই পাড়ার রবিউল মোল্লা, মিঠে শাহ’র ছেলে আসাদুল ইসলাম আসা, ও ইয়াছিনের স্ত্রী ময়না খাতুনও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সামনে ওয়াদা করেছেন মাদক কারবার না করার। জানা গেছে, আজ রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্বপরিবারে যেতে পারেন ওই পাড়ারই আমিনুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা ওরফে বড়বউ। রাশিদাও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের সামনে দোষ স্বিকার করে মাদক কারবার বন্ধের ওয়াদা করতে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।।