চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বন্দির দুই বছর : ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূটি পালন করে দলটি। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় পৃথক তিনটি স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল বের হতেই পুলিশি বাধায় পড়ে তা প- হয়ে যায়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় আয়োজিত সমাবেশে দুই বছর ধরে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এ হুশিয়ারি দেন তিনি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি, নির্বাচন করেছি। এবার খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।’
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দ- নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি হন খালেদা জিয়া। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর থেকে হাসপাতালেই চিকিৎসারত রয়েছেন খালেদা জিয়া। শনিবার খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। খালেদা জিয়ার এই কারাবাসের দুই বছরপূর্তি উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে ওই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। দুপুর ২টা থেকে এ সমাবেশ শুরু হয়। মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমাদের একজন নেতাকর্মীও ঘরে বসে নেই। তারা লড়াই করছে, সংগ্রাম করছে। বিজয়ের মধ্যে দিয়েই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে। সমাবেশ থেকে আগামি ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও সারাদেশে বিক্ষোভের ডাকা দেয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই বছর কারাবন্দী রাখার প্রতিবাদে ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে বিএনপি। দুপুর সোয়া ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের হাতে খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুনও দেখা যায়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথিছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে প্রথমে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। এরপর পাঁচ বছরের কারাদ-াদেশ বাতিল চেয়ে করা আপিলে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন উচ্চ আদালত।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভের প্রথমে পুলিশের বাধার মুখে পড়েনে নেতাকর্মীরা পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম রতন, অ্যাড. শামিম রেজা ডালিম, শেখ সাইফুল ইসলাম, এস.কে সাদী, আব্দুল মোমিন মাষ্টার, কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম লিটন, সদর থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান লিটন, মোমিনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদৎ হোসেন মাষ্টার, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার মুন্সি, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি তৌফিকুজ্জমান তৌফিক, আরিফুজ্জামান পিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বকুল আহমেদ, আশরাফ উদ্দীন রুবেল, আলী কদর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এমএ তালহা, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল জাহিদ, যুগ্ম সহসাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ রনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তৌশাতুর রাব্বী রিংকু, প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল রানা, সাঈদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সাজিদ হাসান মালিক সজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, জেলা ওলামা দলের সভাপতি ফজলুর রহমান, বিএনপি নেতা শফিকুল কবীর জুয়েল, যুব নেতা আতিকুর রহমান বাচ্চু, সুমন রশিদ, ছঅত্র নেতা মতিউর রহমান মিশর, সুজন, বেলাল হোসেন, আশিকুর রহমান হিরক, প্রমুখ।
অপরদিকে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বেলা ১১টার দিকে সাহিত্য পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বরে হলে পুলিশি বাধায় পড়ে। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক আবু। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি খায়রুল ইসলাম, বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সাদিদ, হাফিজুল ইসলাম মুক্ত, আনিসুল হক বিশু, আব্দুল গণি, আলুকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, আব্দুল মজিদ, মহাসীন মেম্বার, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মো. রাজিব খান, যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ উদ্দীন হাবলু, সদস্য শাহাবুদ্দিন, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মাহাবুল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হাসান টুটুল, সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, পান্না জোয়ার্দ্দার, আজিজুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম হ্যাপি, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক শাহাজামাল, আমান উল্লাহ বাবুল, হাবিবুর রহমান রাজিব, রুবেল হাসান, তুহিন ইসলাম, ইমন হাসান, অপু ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, আরিফ আহম্মেদ শিপ্লব, রিণ্টু মহলদার, ছাত্রদলের নেতা মোস্তফা জামান মস্তো, সাহেদ সিদ্দিকী সোহেল, সাইমুন মিশা, ছোটন, কনক হাসান, ইকবাল হাসান, ওমর ফারুক সুমন, রফিক, রাজা, মাহাবুব, আবেদ হাসান আবেদ, আরাফাত, মিনারুল, রাসিব, সম্পদ, কানন প্রমুখ।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বেলা ৩টার দিকে কেদারগঞ্জস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশি বাধায় পড়ে। পরে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পৌর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নূর ইসলাম বুদো। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল। জেলা মৎস্যজীবী দলের যগ্মআহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কমিটির নেতা অহিদুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক বিশ্বাস, সদর থানার ১নং যুগ্মআহ্বায়ক আবু সালেহ মেম্বর, দামুড়হুদা থানার যগ্মআহ্বায়ক আব্দুল মোমিন, দর্শনা পৌর ১নং যুগ্মআহ্বায়ক হারেজ উদ্দিন ডাবলু, আলমডাঙ্গা থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হেবা, চুয়াডাঙ্গা পৌর ১নং যুগ্মআহ্বায়ক মুন্সি আব্দুল হাকিম, যগ্মআহ্বায়ক আবুল বাশার, আকবার আল প্রমুখ।