স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ইসলামি প্রি-ক্যাডেট ও বেবি টিচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট বাধ্যতামূলক কোচিং করানোর নামে মোটা অংকের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, কাস্টমমোড়ে অবস্থিত ইসলামি প্রি-ক্যাডেট ও বেবি টিচিং সেন্টারের ২শ’ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাও. আব্দুর রশিদ তার প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট ভর্তি ফি ছাড়াও ক্লাসে কোচিং করানোর জন্য মোটা অংকের টাকা নেয়ার জন্য অভিভাবকদের নিকট চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। যদি কেউ কোচিংয়ের জন্য টাকা দেয় তাহলে তার ছেলে-মেয়েকে অনেক কয়েক ঘণ্টা পড়ান। আর যদি কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে তার ছেলে মেয়েকে দুই থেকে তিনটি ক্লাস করানোর পর ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ভর্তি ফি ৪শ’ টাকা বাদেও ১ম থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত কোচিং ফি মাসিক ৪শ’ এবং ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ম মাসের বেতন ও ভর্তিসহ সর্বমোট ৮শ’ ৩০ টাকা। এছাড়াও কোচিং ফি ৫শ’ টাকা নিয়ে থাকেন। যদি কেউ কোচিং ফি না দেয় তাহলে দুই একটা ক্লাস করে তাকে বাড়ি যেতে বলেন। আর যারা কোচিংয়ের জন্য টাকা দেয় তাকে পড়ালেখায় গুরুত্ব দেন। অথচ তিনি ভর্তি করানোর সময় বলেন, দূর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করাবো কিন্তু তিনি তা না করে কোচিংয়ের জন্য আলাদা টাকা নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাও. আব্দুর রশিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যে ব্যবসায় রুপান্তর করেছে এতে হতবাক হয়েছে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা। ওনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ভালো তাই তিনি এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে থাকেন। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে ফেলেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানাবো। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মাও. আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভর্তির টাকা আলাদা ও কোচিংয়ের টাকা আলাদা নেয়া হয়। ক্লাসেই কোচিং করে থাকি। আমরা প্রতিষ্ঠানের যেসব খরচ করে থাকি তার জন্য শিক্ষার্থীরদের নিকট টাকা নিয়ে থাকি।