চুয়াডাঙ্গায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিসভা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে, জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাহান, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, জহির রায়হান, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসান ফেরদৌসী ও জেলা পুস্তক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ বাবু বক্তব্য রাখেন।
সভায় সড়কে বাংলা বর্ণমালা ও আল্পনা অংকন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১ মিনিট চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে শহীদ মিনারে পূষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন, প্রভাতফেরী, কবিতা আবৃত্তি, হাম-নাদ, সকল মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে দোয়া, শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও তিনদিনের বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছে। বাঙালি জাতির গৌরবের মধ্যে এটি একটি। পৃথিবীতে ভাষার জন্য কোনো জাতি নেই, ভাষার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। মায়ের ভাষায় কথা বলবে শিশুরা। শুধু আমরা নয়, বিশ্ব এ দিবসটি পালন করে আসছে। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। নতুন প্রজন্মের কাছে কিভাবে দিবসটি তুলে ধরতে পারি। প্রতিটি স্কুলে এসেম্বিলিতে গান গাইতে হবে। জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এসে কথা বলবেন। এখনো যারা করে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষা বিভাগের লোকজন যথাযথভাবে কাজ করছে না। আমি ব্যবস্থা নেবো। শতভাগ স্কুলে করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সকল অনুষ্ঠান ভিডিও করা হচ্ছে। মুজিব দিবস উপলক্ষে সকল অনুষ্ঠান ভিডিও করা হবে। বইমেলায় ১ হাজার টাকার বই কেনার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান জেলা প্রশাসক।