স্টাফ রিপোর্টার: চীনের উহান থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরাতে বিমানের ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। গত শনিবার সরকার বিশেষ উড়োজাহাজে করে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে চীন থেকে ফেরত এনেছে। ওই দিনই তাঁদের সাতজনকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে এবং তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৩০২ জনকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় হুবেই প্রদেশের উহান শহরটিকে অবরুদ্ধ করে দেয় চীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীনের হুবেই প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এসব শিক্ষার্থী চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরতে সরকারের কাছে আবেদন জানান। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে দ্রুত চীনে বিশেষ বিমান পাঠানো হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে চীনের নাগরিকদের জন্য অন অ্যারাইভাল (আগমনী ভিসা) আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৯ জানুয়ারি চীনের উহানে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। খবরে বলা হয় এখন পযন্ত চীনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৬১ হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি। চীনের বাইরে মারা গেছেন একজন, ফিলিপাইনে। তিনি অবশ্য চীনেরই নাগরিক। এ পর্যন্ত ২৬টি দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩০ জানুয়ারি (বাংলাদেশে ৩১ জানুয়ারি) বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। সংস্থাটি বলেছে, একাধিক দেশে এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের নজির পাওয়া গেছে।