স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস গৃহীত দুটি প্রকল্পের তদন্ত চেয়েছে এলাকাবাসী। দুস্থ অসহায় মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য বাইসাইকেল বিতরণ প্রকল্প দুটি তদন্তের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন তারা। গত ২৯ জানুয়ারি করা আবেদনে বলা হয়েছে ‘সদর উপজেলা থেকে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। এ বরাদ্দের আওতায় ১০টি ঘর নির্মাণ করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস। এর মধ্যে খেজুরা গ্রামের শ্রী বিমল দাসের নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের বেতনভুক্ত দফাদার। নিমতলা গ্রামের খোদা বক্সের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়, কিন্তু তার ৩ রুম বিশিষ্ট পাকা বাড়ি ও পায়খানা আছে। পদ্মবিলা ইউপির ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চায়না খাতুনের নামে হায়দারপুর গ্রামে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। চায়না খাতুন নফরকান্দি গ্রামের রহমত আলীর স্ত্রী। রহমত আলী একজন বড় আড়ত ও মুদিব্যবসায়ী। তার দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিলাশবহুল পাকা ঘর আছে। চায়না খাতুন ও তার স্বামীর নামে অনেক জমিজমাও আছে। বরাদ্দকৃত ঘরে চায়না খাতুন বা অন্য কেউ বসবাস না করার ফলে ওই ঘরে মাদকের আড্ডা বসছে। অন্যদিকে ইউনিয়ন এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ১৮টি বাইসাইকেল দেয়ার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস। এর মধ্যে ৬টি নতুন ও ১২টি খুবই নি¤œমানের পুরোনো বাইসবাইকেল বিতরণ করেছেন তিনি। যাদের নামে ঘরবাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তারা আদৌ অসচ্ছল ও দরিদ্র কি না, এবং ছাত্রীদের নামে বরাদ্দকৃত সাইকেল নতুন দেয়া হয়েছে কি না, বা এ দুই প্রকল্পে অর্থবাণিজ্য হয়েছে কি না তা তদন্তের জন্য দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।