মাথাভাঙ্গা মনিটর: করোনা ভাইরাস নিয়ে যখন সারা দেশে সতর্কতা ঠিক এমন সময়েই রাজধানীর একটি হাসপাতালে জ্বর ও কাশি নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক চীনা নাগরিক। সোমবার দুপুরে তিনি ভর্তি হন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাক একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়েছে। তবে তার শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করা হয়নি। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইসিডিডিআরবি) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ওই রোগীর বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু এখনও তার লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ (সোমবার) দুপুরের দিকে ওই চীনা নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ধরা পড়ে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে বাতাসে ঋণাত্মক চাপ আছে- এমন একটি রুমে রাখা হয়েছে। এই রুমের বাতাস বাইরে যায় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তিনি চলতি মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন। ইতোমধ্যে এ ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে ৮১ জনের প্রাণ। এ ছাড়া এটি সংক্রমিত হয়েছে তিন হাজারের বেশি মানুষের দেহে। মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিলো- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাদের ধারণা, মানুষের দেহে এ রোগ এসেছে কোনো প্রাণী থেকে। তারপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস। চীনের বাইরে ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা গেছে। চীনের বাইরে সারা বিশ্বে ২ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে।