চুমকি চৌধুরীকে স্মরণীয় করে রাখতে চুয়াডাঙ্গায় তার নামে সড়কের নামকরণ করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কোলকাতার প্রখ্যাত নায়িকা চুমকি চৌধুরীর নামে একটি সড়কের নামকরণ করা হবে। তাকে চুয়াডাঙ্গায় স্মরণীয় করে রাখতে তার নিজস্ব জমিতে একটি বাংলো নির্মাণ করা হবে। এদেশে যেনো তিনি নাগরিকত্ব পান সে ব্যবস্থাও করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ম্যাপ অ্যাগ্রো কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ড. এআর মালিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. এআর মালিক। গতকাল রোববার সকালে চুমকি চৌধুরীর বিদায়ের সময় এ কথা জানান তিনি।
সপ্তাহব্যাপী চুয়াডাঙ্গায় কাটিয়ে রোববার সকাল পৌনে ১০টায় বাংলাদেশ ত্যাগ করেন চুমকি চৌধুরীসহ তার সঙ্গে আসা অন্যান্যরা। জেলা শহরের ড. এআর মালিক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ চত্বর থেকে তারা বিদায় নেন। অন্যান্যের মধ্যে চুমকি চৌধুরীর স্বামী বিশিষ্ট অভিনেতা সজল ভট্টাচার্য্য, বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক অমল রায় ঘটক ও তার সহধর্মিণী পাপীয়া রায় ঘটকও ছিলেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অতিথি হিসেবে কোলকাতায় যান আান্তর্জাতিক সাহিত্য সংগঠক কার্পাসডাঙ্গার বিশিষ্ট রাজনীতিক রবিউল হোসেন সুকলাল। তাদেরকে বিদায় জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যাপ অ্যাগ্রো কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. এআর মালিক, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হবি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নূর-ই-আলম মোর্শেদাসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। বিদায়ের আগমুহূর্তে ড. এআর মালিক জানান, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবং এ দেশের সংস্কৃতিকে জানতে চুমকি চৌধুরীকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিলো চুয়াডাঙ্গায়। তাকে চুয়াডাঙ্গায় স্মরণীয় করে রাখতে ভালাইপুর-ইব্রাহিমপুর সড়কটির নামকরণ চুমকি চৌধুরী সড়ক করার কথা ভাবছি। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চুমকি যাতে এ দেশের নাগরিত্ব পায় সে ব্যাপারে আমি চেষ্টা করছি। এটা হলেই তার নামে জমি রেজিস্ট্রি করে দেব এবং চুমকি চৌধুরীর নামে একটি বাংলো নির্মাণ করবো। এ বিষয়ে আরও পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে হিরক জয়ন্তী সিনেমার মধ্য দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন চুমকি চৌধুরী। তার বাবা ভারতের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। চুমকি চৌধুরী বড় বউ, মেজ বউ, অভাগিনী, পূজা ও লোফারসহ ৩০টির মতো দর্শক নন্দিত সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।