স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের জরুরি সতর্কতা গ্রহণ করা প্রসঙ্গে আয়োজিত এক জরুরি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহুসংখ্যক মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পড়ালেখার কারণে চীনে বসবাস করছে। এই ভাইরাস যেকোনো উপায়ে দেশে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এটি প্রতিরোধে করণীয় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। জনসাধারণের সতর্কতার অংশ হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য বাংলাদেশ থেকে চীনে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে বলে মনে করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। আন্তর্জাতিক খবরে বলা হয়, ভাইরাসে ঠা-াজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রথমে জ্বর ও শুকনো কাশি দিয়ে শুরু হয়। এক সপ্তাহ পর তা ঘন ঘন নিশ্বাস নেয়ায় রূপান্তরিত হয়। পরে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কারও কারও অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে। এর সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা বা টিকা বা ওষুধ নেই। এ ধরনের ভাইরাস আগে কখনো দেখা যায়নি। তাই এটার নামকরণ করা হয়েছে ‘২০১৯-এনকভ’ বা ‘নভেল করোনা ভাইরাস’। সামুদ্রিক প্রাণী থেকে এটি মানুষে ছড়িয়েছে। এরপর মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। চীনে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের প্রায় দুই হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অল্প কয়েকজন ছাড়া অন্যরা চীনের। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬। তারা সবাই চীনের নাগরিক। এ পরিস্থিতিকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।