দামুড়হুদা অফিস/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আবারো দামুড়হুদার মোক্তারপুর মাঠে দেড় বিঘা জমির ভুট্টাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা । গত শনিবার রাতে মোক্তারপুর গড়গড়ির মাঠে দেড়বিঘা জমির ভুট্টাগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্থ ভুট্টাক্ষেত মালিক মোক্তারপুর গ্রামের আব্দুর গফুরের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫)।
জানা যায়, দামুড়হুদার মোক্তারপুর গ্রামের গড়গড়িয়ার মাঠে কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেনের দেড় বিঘা জমির ফলন্ত ভুট্টাগাছ দুই লাইন পরপর দুই লাইন করে কে বা কারা রাতের আধারে কেটে দিয়ে গেছে। রোববার সকালে কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন ভুট্টাক্ষেতে গিয়ে দেখে তার ফলন্ত ভুট্টাগাছ দুই লাইন পর পর কেটে দিয়েছে। এতে কৃষক জাহাঙ্গীরের প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। একের পর এক কৃষকের ফলন্ত ভুট্টাগাছ কেটে দেয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মোক্তারপুর গ্রামের অন্যান্য কৃষক। ফলন্ত ভুট্টাক্ষেত কেটে দেয়ার খবর পেয়ে গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে ভুট্টাক্ষেত পরিদর্শন করেছেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। এসময় তিনি ভুট্টাক্ষেত মালিক কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেনকে উপজেলা কৃষি অফিস বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম দিনে একই গ্রামের আব্দুল গণির কৃষক সাইদুর রহমান টোকনের ১ বিঘার অধিক পরিমাণ জমির ভুট্টা ঠিক একইভাবে কেটে দেয়া হয়। পরদিন টোকন বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর ঠিক দশ দিন পর আবার একই গ্রামের আত্তাব হোসেনের ছেলে কৃষক খলিলের বেনাজুলা মাঠে ৫ বিঘা জমির ভুট্টাগাছ একইভাবে কেটে দেয়। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৭/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন জমির মালিক কৃষক খলিল।
ভুক্তভোগী কৃষক সাইদুর ও খলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে সময় আমাদের ফলন্ত ভুট্টাগাছ কেটে দিয়েছিলো ওই সময় যদি পুলিশ বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে আর হয়তো জাহাঙ্গীরের জমির ভুট্টাগাছ কাটতে পারতো না। কিন্তু থানায় অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাইনি আমরা। কে বাঁচাবে আমাদের এই সোনার ফসল?