পাত্রীর মা ভালো না হলে তার মেয়েকে বিয়ে করবেন না

স্টাফ রিপোর্টার: সকল অবিবাহিতগণের প্রতি আমার আকুল আবেদন, আপনারা পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর ‘মা’ ভালো কি-না সঠিকভাবে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর ‘মা’ ভালো না হলে পাত্রী কখনই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা হবে দোজখের মতো। সুতরাং সকল সম্মানিত অভিভাবকগণের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন।’ ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের সরকারি অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহ আবদুল কুদ্দুস (৩২) নামে পুলিশের একজন নায়েক। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। পিওএম উত্তরের উপ-কমিশনার নাজমুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে ডিউটিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে নিজের নামে ইস্যু করা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেন কুদ্দুস।’ তিনি বলেন, কুদ্দুস আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। স্ট্যাটাসে শ্বাশুড়ির দ্বারা নির্যাতনের ইঙ্গিত দিলেও মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। তিনি পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট ব্যারাকেই থাকতেন। পিওএম উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ফোর্স) নূরজাহান বেগম বলেন, ভোর সাড়ে ৫টায় ডিউটিতে যাওয়ার জন্য অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে রওনা হয়েছিলেন কুদ্দুস। সহকর্মীরা তাদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে উঠলেও কুদ্দুস ওঠেনি। এক ফাঁকে সে তার অস্ত্রটি (এসএমজি) নিয়ে কার্যালয়ের ভেতরে একটু দূরে আরেকটি ফাঁকা গাড়িতে গিয়ে ওঠে। রওনা হওয়ার আগে সহকর্মীরা কুদ্দুসকে না পেয়ে খুঁজতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ গুলির শব্দ পেয়ে তারা ওই গাড়ির কাছে ছুটে গিয়ে তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ফেসবুকে কুদ্দুসের দেয়া স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পরে জেনেছি সে পারিবারিক সমস্যার বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসের শুরুতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করবেন না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে……।’ এরপর তিনি অবিবাহিতদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে স্ট্যাটাস শেষ করেন। শেষে লেখেন আল্লাহ হাফেজ। নিচে নিজের পরিচয়টিও লিখে দেন।