স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব-২০২০ উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় কলেজ চত্বরে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এ সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার ও অধ্যক্ষ (অব.) সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক মাসুদ পারভেজ। উপস্থাপনায় ছিলেন সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল ও অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান নাবিলা ছন্দা এবং সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসবে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলা বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ও দর্শন বিভাগ অংশগ্রহন করে। পিঠা উৎসবে মুগ পাকান, দুধপুলি, পাটি সাপটা, সুজি রসভরা, নারকেল পাকান, লিচু পিঠা, নারকেল নাড়–, নলেন গুড়ের পিঠা ও তালের বড়াসহ শতাধিক ধরণের পিঠা উৎসবে স্থান পায়। পিঠা উৎসবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক মাসুম পারভেজ, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. আব্দুর রশীদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শাহজাহান আলী, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক মামুন অর রশিদ ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, বাঙালি কৃষ্টি কালচারের সাথে মিশে আছে পিঠা উৎসব। শীতকালে বেশি জমে পিঠা উৎসব। এখন ফার্স্ট ফুডের যুগে বার্গার ও হটডগের দিকের ঝুকে গেছে শহরের মানুষরা। এ পিঠা শহরে হারিয়ে যেতে বসেছে। মায়ের হাতের পিঠা এখন খেতে পারি না। সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ পিঠা উৎসব নিয়ে এ আয়োজন করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।