মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সাথে বেড়েছে কুয়াশার দাপট

স্টাফ রিপোর্টার: দেশের উত্তরে বিস্তীর্ণ এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের যে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা আরও দুয়েকদিন চলবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকাল বুধবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস শ্রীমঙ্গলে। চলতি মৌসুমে এখন চতুর্থ শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহের পর কুয়াশার দাপটের সঙ্গে উত্তরে শীতের তীব্রতা বাড়লো।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুরের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। “রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এলাকার বিস্তার না বড়লেও এ জন্যে আরও দু’দিন দিন চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়ার আভাস রয়েছে।” বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীত মৌসুম ধরা হয়। তবে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলা পঞ্জিকার মাঘ মাসের শুরুতে বরাবরই শীতের তীব্রতা বাড়ে। এবারের শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষার্ধে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় দেশের বিভিন্ন এলাকায়। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও ছিলো এক দফা শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা কম থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। থার্মোমিটারের পারদ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর পারদ ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরনিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে বলে ধরা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন ও লোকজনের চলাচলে বিঘœ ঘটছে। পাশাপাশি বেড়েছে ঠা-াজনিত রোগের প্রকোপ। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে ছিলো ঘন কুয়াশা। সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই তীব্র শীত অনূভুত হতে থাকে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলায় তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো বলে জানান তিনি। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবর স্থবির হয়ে পড়লেও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাধ্য হয়েই কাজের সন্ধানে বাইরে বেড়িয়েছেন। এদিকে শীত জেঁকে বসার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদর হাসপাতালে ঠা-াজনিত রোগ আক্রান্ত রোগীর ভিড় বাড়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবির বলেন, “হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিনই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন নতুন রোগী এসে ভর্তি হচ্ছেন। মেডিসিন ওয়ার্ডেও শীতজনিত রোগী এসে ভর্তি হচ্ছেন।”