চুয়াডাঙ্গায় পৃথক বাসের দু’যাত্রীকে অজ্ঞান করে ৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা লোকালবাসে অজ্ঞানপার্টির উৎপাত বেড়েছে। গতকাল বুধবার পৃথক দুটি সড়কের বাসে দুজন যাত্রীকে অজ্ঞান করে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। প্রতারিত দুজনকেই অজ্ঞান অবস্থায় গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে টাকা হারানো দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের জাফরপুর মাঠপাড়ার গরু ব্যবসায়ী কাওছার আলী (৪২) ও কুষ্টিয়া আমতৈলির অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়ার বর্তমান বাসিন্দা ইজার উদ্দিন (৫৫)। গতরাত ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাখা ছিলো। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হারিয়েছেন নগদ ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর গরুর ব্যাপারী কাওছার ঠিক কতো টাকা হারিয়েছেন তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। তাকে কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার করে সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর ইজার উদ্দীনকে গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গার দৌলাতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া আমতৈলির আজির বকশের ছেলে ইজার উদ্দীন বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়ায় বসবাস করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার তিনি বাসা থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পেনশনের ৫ লাখ টাকা তোলার জন্য বের হন। টাকাও তোলেন। দুপুরে আলমডাঙ্গা থেকে বাসে ওঠেন। বাসের মধ্যে তিনি জ্ঞান হারান। বাসের অপর যাত্রী তারই পূর্বপরিচিত চুয়াডাঙ্গা তালতলার শামীম কবির ফোনে তার নিকটজনদের জানান। ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম দ্রুত ছুটে আসেন। বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। কোন বাসে ঠিক কীভাবে তাকে অজ্ঞান করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। অপরদিকে গরু কেনার জন্য গতকাল বাড়ি থেকে আলমডাঙ্গা পশুহাটের উদ্দেশে রওনা হন জাফরপুর মাঠপাড়ার হাশেম মিয়ার ছেলে কাওছার আলী। আলমডাঙ্গার উদ্দেশে সকালে বের হলেও বিকেলে মোবাইফলফোনে খবর আসে তিনি অজ্ঞান অবস্থায় কুষ্টিয়ার মজমপুর বাসস্ট্যান্ডের নিকট পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে তার নিকটজনের দ্রুত ছুটে যান কুষ্টিয়ায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গতরাত সাড়ে ৭টার দিকে ভর্তি করা হয়। তিনি কতো টাকা নিয়ে পশু হাটের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তা জানা যায়নি। তবে তার নিকট থাকা মোবাইলফোনটি অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নেয়নি।