চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে বখাটেদের উৎপাত : অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিকটবর্তী স্থান, ছাত্রীমেসসহ বিভিন্ন জায়গায় বখাটে যুবকদের উৎপাত বেড়েছে। বখাটে যুবকরা নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দাঁড়িয়ে বিভিন্নভাবে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করে থাকে। বখাটেরা কোনো কোনো সময় আপত্তিকর কথাসহ শিক্ষার্থীদের ওড়না ধরেও টানাটানি করে। ভয়ঙ্কর প্রকৃতির এসব বখাটের ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পায় না শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, যখন স্কুল-কলেজ শুরু বা ছুটি হয় তখন বখাটে কিছু যুবক নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন টোন করে। উত্ত্যক্ততার শিকার অনেক শিক্ষার্থীরাও এমন অভিযোগ করেছে। চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা হয় ফিরোজ রোডের কাঁঠালতলা, আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের আশপাশ রাস্তায়। এছাড়া পলাশপাড়ার কদমতলার আশপাশে বখাটেদের নিয়মিত বিচরণ চোখে পড়ে। মহিলা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, কিছু বখাটের জন্য কাজেকামে কলেজের বাইরে বেরুনো যায় না। এদের সামনে গেলেই আজেবাজে অঙ্গভঙ্গিতে টোন করে এবং মোবাইল নম্বর চায়। কলেজের দুজন শিক্ষক জানান, বখাটেদের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও তেমন ফল হয় না। পুলিশ দু’একদিন উড়োতাতাড়া করলে বখাটেদের উৎপাত থামে ঠিকই কিন্তু ক’দিন পরে আবার শুরু হয়। এদের ধরে শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত এরা থামবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের নিকটবর্তী ওয়াপদার ভেতরের রাস্তায় প্রায়ই স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে বখাটেরা। এমনকি আমরা সাথে থাকলেও তারা অসম্মানজনক কথাবার্তা বলে। এদের কারণে আমরা সব সময় উদ্বিগ্ন থাকি। একাধিকসূত্রে জানা যায়, ১৬ থেকে ২২ বছরের বখাটেরা চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। শ্রীমন্ত টাউনহলের পার্শ্ববর্তী শাপলা গেট, চাঁদমারী মাঠ, প্রদীপন বিদ্যাপীঠের পার্শ্ববর্তী জোলের ধারসহ বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকে এরা। কেউ কেউ মোটরসাইকেল নিয়েও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে মহড়া দেয়। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘বখাটেদের উৎপাতের কথা আমরা শুনেছি। প্রায়ই অভিযান চালাই। তাছাড়া নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বখাটেদের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।’