বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহ ও গড়াইটুপিতে চিত্রানদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করেছে জেলা প্রশাসন। অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ যারাই করবে তাদেরকেই বিরুদ্ধেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ও গড়াইটুপি ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে চিত্রানদী। অভিযোগ ওঠে চিত্রানদী থেকে অনুমতি ছাড়ায় অবৈধভাবে করা হচ্ছে বালু উত্তোলন। এ অবৈধ বালু উত্তোলন করেছেন তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি শুকুর আলী মিয়া এবং গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশ। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালুর ঢিবিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে শুকুর আলী মিয়াকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয়ের উত্তোলনকৃত ৬টি বালুর ঢিবি জব্দ করে প্রশাসন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে জব্দকৃত বালু প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে শুকুর আলীর উত্তোলনকৃত বালু নিলামে বিক্রি হয় ৪ লাখ ২ হাজার টাকায়। এখানে ১৩ জন নিলামে অংশগ্রহণ করে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে নিলামে অংশ নিয়ে বালু ক্রয় করেন কালুপোল গ্রামের আবুসাঈ খোকন। অপর দিকে পলাশের উত্তোলনকৃত বালু নিলামে অংশগ্রহণ করেন ৪ জন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা দিয়ে বালু নিলামে ক্রয় করেন গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন চাঁন মিয়া। এর সাথে আয়কর ভ্যাট ২০ শতাংশ যোগ হবে বলে জানা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার সোবহান আলী, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আইনাল হক, তিতুদহ ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, সচিব জিয়াউর রহমান, তিতুদহ ক্যা¤প ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুমতি ছাড়া এ ধরনের কাজ যারাই করবে তাদেরকেই বিরুদ্ধেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।