আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা এলাকার ত্রাস সাঈদ মালিতা ওরফে টাইগার সাঈদকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার ভোরে ঝিনাইদহ র্যাব অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ সময় তার ঘর থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। টাইগার সাঈদ (৪০) তিয়রবিলা গ্রামের আলাউদ্দিন মালিতার ছেলে। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় তিয়রবিলার নজরুল ইসলাম হত্যা ও চাঁদাবাজির ৪টিসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, গ্রেফতার হওয়া টাইগার সাঈদ চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে তিয়রবিলা গ্রামের নজরুল ইসলাম হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ থানায় ৪টি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৬’র কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম গতকাল বুধবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রায় ৬ বছর পালিয়ে থাকার পর র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মালিতা। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, একটি চাপাতি, দু’টি মোবাইল সেট এবং দু’টি সিমকার্ড। সাইদ মালিতার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু থানায় হত্যাসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। সে ২০১৫ সাল থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত আসামি। সাইদ এলাকায় টাইগার নামে পরিচিত ছিলো। চাঁদাবাজি, অপহরণ, হত্যা, গুম এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছিলো সে। শুধু আলমডাঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে চারটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে বলে র্যাব জানায়।
এদিকে, পরিবারের সদস্যরা বলেছেন সাঈদ গত ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো। মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় ধারণা করা হয় সে গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব পুলিশসহ প্রশাসনের দফতরে খোঁজ নিয়ে কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না। বুধবার ভোরে সাঈদকে সাথে নিয়ে র্যাব বাড়িতে এসে ঘর তল্লাশি করে। পরে জানতে পারি তাকে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ জুন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকু-ুতে অবস্থিত নিজের ক্লিনিক থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিয়রবিলা গ্রামের মৃত লুৎফর চেয়ারম্যানের ছেলে নজরুল ইসলাম। পথিমধ্যে ধুলোখালী মাঠে সন্ত্রাসীরা তাকে তাড়িয়ে ধরে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ হত্যা মামলারও আসামি টাইগার সাঈদ।