মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরের ভবনগর গ্রামে হনুমান এখন হুমকির মুখে, ফাঁদ পেতে অনেকেই হনুমান মেরে ফেলছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে মহেশপুরের ভবনগর গ্রামের বনে-জঙ্গলে এ সকল হনুমান বাস করে আসছে। সম্প্রতি খাদ্য সংকট, গাছগাছালি নিধনের কারণে মরসুমি ফসল ক্ষতি করায় এলাকার মানুষ ফাঁদ পেতে হনুমান মেরে ফেলছে। এলাকার লোকজন জানায়, তাদের পূর্ব পুরুষেরা এ হনুমান দেখে আসছে। এক দশক আগে ভবনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তি চৈত্র মাসে পানি খাওয়ার জন্য হনুমান দল বেঁধে তার বাড়ি পানি খেতে আসলে পানির সাথে বিষ মিশিয়ে ২০-৩০টি হনুমান মেরে ফেলে। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন তাকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠায়। তারপর থেকে হনুমান মারা বন্ধ ছিলো। বর্তমানে খাদ্য সংকটের কারণে পেয়ারা, পেঁপে, কলা, আমসহ নানা ধরনের ফসলের ক্ষতি করার কারণে কৃষকরা ফাঁদ পেতে হনুমান মেরে ফেলছে। ভবনগর গ্রামটি ভারত সীমান্তে হওয়ায় মাঝে মধ্যে ভারতীয় হনুমান ও বাংলাদেশি হনুমানের মধ্যে মারামারি হয় এতেও হনুমান মারা যায়।
ভবনগর গ্রামের নাজমুল ইসলাম জানায়, আগে এখানে কয়েকশ হনুমানের অবস্থান ছিলো বর্তমানে তা কমে ১শ’র মধ্যে চলে এসেছে। হনুমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এলাকার সচেতনমহল হনুমান রক্ষার্থে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছে। স্থানীয় শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান আমানউল্লা জানান, খাদ্য সংকটের কারণে হনুমানরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া হনুমান ক্রমেই কমে যাচ্ছে খাদ্যভাব দূর হলে হনুমানের উৎপাত কমে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার জানান, কেউ যদি হনুমান মারে তাহলে বন্যপ্রাণি হত্যা আইনে মামলা হবে এবং খাদ্য সংকটটি সমাধান করা যায় কি-না সে বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।