স্টাফ রিপোটার: দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায় টাস্কফোর্সের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফের অভিযান চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ মজিকে আটক করা হলেও মহাজন গেছে ফঁসকে। মজিসহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা হল্টস্টেশন টাওয়ারপাড়ায় টাস্কফোর্সের মাদকবিরোধী এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ। চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, উপসহকারী পরিদর্শক আকবর হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান টাওয়ারপাড়ার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়িতে। বাড়ির রান্না ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৬ কেজি গাঁজা। এ অপরাধে আটক করা হয় দ্বীন মোহাম্মদের স্ত্রী মর্জিনা ওরফে মজিকে (৬০)। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত জনতার সামনে মজিসহ স্থানীয়রা জানায় এ গাঁজা দর্শনার পার্শ্ববর্তী আকন্দবাড়িয়া নতুনপাড়ার কফিল উদ্দিনের ছেলে অভিযুক্ত মাদককারবারি মহিরের। মহির কাছ থেকে সোমবার গভীররাতে এ গাঁজা এনে মজির বাড়িতে লুকিয়ে রাখে টাওয়ারপাড়ার আমিরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা ওরফে বড় বউ। ঘটনার পরপরই রাশিদা গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বাদি হয়ে গতকালই মজি ও দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর শাহপাড়ার বজলুর রহমান ওরফে মিঠু শাহ’র ছেলে আশাদুল ইসলাম আশার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশা ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় নানামুখি গুঞ্জন শুরু হয়েছে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা প্রকাশ্যে বলাবলি করেছিলো গাঁজার মূল মালিক মহি ও রাশিদা। কিছু টাকার বিনিময়ে মজির বাড়িতে গাঁজা রাখতো তারা। ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী মহলবাসী। এ দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা দর্শনায় মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে প্রায় প্রতিদিনই মাদকদ্রব্যসহ আটক করছে কেন না কোনো মাদককারবারিকে।