জীবননগর দেহাটির অবৈধ ইটভাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান

দমকলের পানি দিয়ে নেভানো হলো ভাটার আগুন
জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া এবং ফিক্সড চিমনির স্থলে টিনের চিমনি ও কয়লার স্থলে কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলো উপজেলার দেহাটির তিন ইটভাটা মালিক। প্রশাসন এবং ভ্রাম্যমাণ আদলাত দফায়-দফায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ এ ইটভাটা বন্ধে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেও ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছিলো। এ অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালতে আসলে ইটভাটার মালিকরা ভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ভাটায় কাউকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ইটভাটার চিমনিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে চুরমারসহ দমকল বাহিনীর সদস্যরা জ্বলন্ত ইটভাটায় পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেয়। এর ফলে বিপুল অঙ্কের টাকার ইট বিনষ্ট হয়েছে।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের দেহাটিতে অবস্থিত দুই ভাই আরিফুল ইসলাম আরিফ ও আশরাফুল ইসলামের এ আর বি ব্রিকস, এসএম শামীম শাহ্রে শাহ্ ব্রিকস ও জাহাঙ্গীর আলমের নিউ ব্রিকস নামে তিনটি ইটভাটা রয়েছে। এ তিনটি ভাটার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কোনো ছাড়পত্র নেই। ফিক্সড চিমনির স্থলে টিনের তৈরি চিমনি ও কয়লার স্থলে কাঠ দিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে ইট পুড়িয়ে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করে আসছিলো। অভিযোগ পাওয়ার পর এ অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ হতে দফায়-দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু তারপরও ইটভাটার মালিকের বেপরোয়া হয়ে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছিলো। চুয়াডাঙ্গার এনডিসি সিব্বির আহমদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে এলে ইটভাটার মালিকেরা পালিয়ে যায়। এ সময় ইটভাটার চিমনি ভেঙে চুরমার করা হয়। ভাটায় কাউকে না পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত জীবননগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার লিডার খাইরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তারা ইটভাটায় পৌঁছুনোর পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে জ্বলন্ত ইটভাটায় পানি দিয়ে নিক্ষেপ করে ইটভাটা নিভিয়ে দেয়।