শাহাদত হোসেন লাভলু: আলমডাঙ্গার খোরদ গ্রামে রাস্তার ওপর নির্মিত ব্রিজই এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মিত ব্রিজটি সাধারণ মানুষের কোনো কাজে তো আসছেই না। বরং হয়রানি আর চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ। ব্রিজের কারণে অন্য পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে পথচারীদের। এ অবস্থায় নির্মিত ব্রিজের দুইপাশে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খোরদ-বাঁচামারী গ্রামীণ সড়কে প্রায় দেড় মাস ধরে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ টাকা ব্যয়ে ৪৩ ফুট লম্বা নির্মিতব্য ব্রিজটি এখন এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা থেকে প্রায় ৬ ফুট উঁচু ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা কোনো মানুষও চলাচল করতে পারছে না। ফলে ব্রিজের পার্শ্ববর্তী গ্রামে আসা-যাওয়া করতে প্রায় ৬ কিলোমিটার ঘুরে অন্য পথ দিয়ে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে কৃষকদের হচ্ছে বেশি সমস্যা। মাঠের আবাদি ফসল গরুরগাড়িতে আনতে পারছেন না তারা। খোরদ গ্রামের কৃষক মানিক হোসেন বলেন, ব্রিজের উচ্চতার কারণে আমরা গরুরগাড়ি ও পাওয়ারটিলার ব্যবহার করতে পারছি না। মাথায় করে ফসল টানতে হচ্ছে। তা না হলে ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে গ্রামে ঢুকতে হচ্ছে। গ্রামের একরামুল হক বলেন ব্রিজের পাশেই আমাদের বাড়ি। উঁচু করে ব্রিজ নির্মাণের ফলে আমাদের বাড়িতে বৃষ্টির পানি জমবে। এতে আমাদের বসবাস করায় দায় হয়ে যাবে। ব্রিজ নির্মাণকাজের ঠিকাদার ওমর ফারুকের ভাই ওয়াসিম বলেন, ‘নকশায় যেভাবে আছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি।’ এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘ব্রিজটির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে সেটি বুঝছি। কিন্তু এক সময় হয়তো রাস্তা উঁচু হবে। তাই আগাম পরিকল্পনা নিয়েই নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। ব্রিজের দুইপাশের রাস্তা উঁচু করে নির্মাণ হয়ে গেলে হয়তো মানুষের ভোগান্তি আর থাকবে না। সাময়িক সমস্যার ব্যাপারে কিছুই করার নেই। ব্রিজের নকশা অনুযায়ীই কাজ চলছে।’