স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সঞ্চয় সপ্তাহ-২০২০ উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সঞ্চয় সপ্তাহ চলবে। এবারের সেøাগান ‘অপচয় না করে সঞ্চয় কর, সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধ কর’। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, সঞ্চয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ মজবুত হয়। সঞ্চয় ব্যক্তির অর্থনৈতিক নিরাপত্তার পাশাপাশি সচ্ছলতা আনয়ন করে। সঞ্চয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তার প্রতীক। সঞ্চয় অধিদফতর সরকারের একটি সেবামুখী প্রতিষ্ঠান। সঞ্চয় অধিদফতর জনগণের জমানো টাকার মুনাফা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আজকের সঞ্চয় আগামী দিনের সমৃদ্ধি বয়ে আনে। বক্তারা আরও বলেন, মানুষ নিরাপত্তার কথা ভেবে সঞ্চয় করে। অবৈধভাবে পয়সা উপার্জন করলে আপনাকে হিসাব দিতে হবে। সে কারণে কেউ যেনো অবৈধভাবে পয়সা উপার্জন না করে।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোাচনাসভা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাইলাল সরকার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ও সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সঞ্চয় কর্মকর্তা মুকুল হোসেন। মো. শাহনেওয়াজের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহা।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, ‘অপচয় না করে সঞ্চয় কর, সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধি কর’ এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহ। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা সঞ্চয় অফিস বড়বাজার থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তৌফিকুর রহমান। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। পরে সেখানে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি ও আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাইন উদ্দীন, জেলা সঞ্চয় অফিসার নজরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শাহীন কবীর, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাসসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।