স্পোর্টস ডেস্ক: অর্থ পুরস্কার নেই। শিরোপা সাজিয়ে রাখার সুযোগ নেই চ্যাম্পিয়ন দলের শোকেসে। তাই বলে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালের গুরুত্ব কমেনি। বরং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষীকির আয়োজন হওয়ায় এবারের আসরের গুরুত্ব আলাদা। এই শিরোপার সম্ভাব্য স্থান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নয়তো বিসিবি ভবন। টি-২০ লিগের অর্থের ঝনঝনানি ছাপিয়ে বিশেষ এই বিপিএলে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রাজশাহী রয়্যালস। ফাইনালটা ফাইনালের মতোই হওয়ার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। রাজশাহী রয়্যালস ১৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তুলেছিল। রান তাড়ায় শুরুতেই হেরে বসেনি খুলনা টাইগার্স। দুই ওপেনার নাজমুল শান্ত ও মেহেদি মিরাজকে হারিয়ে বিপদে পড়লেও গুছিয়ে উঠেছিল দলটি। শামসুর রহমান (৫২) এবং রাইলি রুশো (৩৭) দলকে বেশ এগিয়েও নিয়েছিলেন। শেষ রাঙিয়ে ফেরার চ্যালেঞ্জ নিতে মুশফিকুর রহিম ব্যাটে নামেন পাঁচে। বিপিএলের প্রথম শিরোপায় চোখ ছিল তার। কিন্তু ১৮তম ওভারে আশা ভাঙে খুলনার। দেশ সেরা টি-২০ ব্যাটসম্যান মুশফিক ২১ রানে ফিরতেই সব স্বপ্ন ঝুরঝুর করে ভেঙে যায় তাদের। শেষ দিকে ব্যাট করতে নামা রবি ফ্রাইলিংক-শফিউল ইসলামরা চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি মোহাম্মদ ইরফান-আন্দ্রে রাসেলদের। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে থামে খুলনা। দুইবার ফাইনালে উঠে প্রথমবার শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ে রাজশাহী। আর খুলনার প্রথম ফাইনালে ওঠাটা শেষ হয় ব্যর্থতায়। বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আক্ষেপ থেকে যায় মুশফিকুর রহিমের।
ম্যাচটা পক্ষে না আসলেও টসটা পক্ষে পেয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক। শিশির ভেজা উইকেটে রান তাড়া করতে সুবিধা হবে জেনে শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। রাজশাহীর রান নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজটাও করে যাচ্ছিল তারা দলের বোলাররা। কিন্তু শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল ১৬ বেল ২৭ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ২০ বলে ৪১ রান করে খুলনার সামনে বড় রান দাঁড়া করায়। তার আগে রাজশাহীর হয়ে ইরফান শক্কুর ৩৫ বলে ৫২ রান করেন। লিটন দাস খেলেন ২৫ রানের ইনিংস। জবাবে নামা খুলনা শুরুর ১১ রানে দুই উইকেট হারায়। এরপর রাইলি রুশো এবং শামসুর রহমান ৭৪ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু একশ’ ছাড়াতেই রুশো-শামসুরের সঙ্গে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে হারিয়ে পথ হারায় খুলনা। মুশফিক ছিলেন দলের একমাত্র ভরসা। তার সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আন্দ্রে রাসেলের মতো কিছু একটা করার। কিন্তু সেই রাসেলই খুলনা অধিনায়ক মুশফিককে বোল্ড করে দলকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথ পরিষ্কার করে দেন। রাজশাহীর হয়ে দারুণ বোলিং করেন মোহাম্মদ হরফান ও কামরুল রাব্বি। দু’জনে ৪ ওভারে যথাক্রমে ১৮ ও ২৯ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। রাসেলও থলেতে ভরেন দুই উইকেট।