মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। এ লাশ নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গৃহবধূর পিতার দাবি শ্বশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ^শুর শ^াসরোধ করে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। এদিকে স্বামীর দাবি অভিমানে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী সালমা খাতুন। তবে মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাশেম বলেছেন গৃহবধূর গলায় রশির দাগ আছে। তাই হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
জানা যায়, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে হিরনের সাথে দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের কোলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে সালমা খাতুনের। বুধবার দিনগত মধ্যরাতে সে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দ্রুত তাকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী হিরোন জানান, রাতে বাড়ি ফিরে দেখি সালমা ঘরের ভেতরে গলায় রশি দিয়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাকে হত্যা করা হয়নি। সংসারের প্রতি অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের পিতা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ের শ^শুর হেকমত আলী আমার মেয়ে সালমাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এতে সে রাজি না হওয়ায় তাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে গলায় রশি দিয়ে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করবো।
সোনাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, আমি শুনেছি হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা গেছে।
মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ জানান, হাসপাতালে নেয়ার পথে সালমার মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে লাশ আসার পরে আমি পুলিশকে খবর দিলে মুজিবনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাশেম জানান, হত্যা কিংবা আত্মহত্যা যাই হোক নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া নিহতের বাবা শফিকুল হত্যার অভিযোগ তুলেছেন তাই লাশ ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে লিখিতভাবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।