চুয়াডাঙ্গায় রেল লাইন পরিষ্কারের নামে রেল বিভাগের বৃক্ষ নিধন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় লাইনের আশপাশ পরিষ্কারের নামে রেল বিভাগের গাছ কেটে সাবাড় করা হচ্ছে। গাছ কাটার অনুমতি না থাকলেও অবৈধভাবে এসব গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। রেল বিভাগের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে শতাধিক গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর রেলওয়ে স্টেশনের পার্শ্ববর্তী লাইনের দু’ধারের ফলজসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ কেটে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
অভিযোগকারিরা জানান, মোমিনপুর রেলস্টেশন থেকে আমিরপুর গ্রামের শেষমাথা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় লাইনের ধারের বিভিন্ন গাছ কাটতে দেখা যায়। কিসের ভিত্তিতে বা কার অনুমতিতে এসব গাছ কাটা হচ্ছে এলাকার কেউই তেমন বলতে পারছে না। আমিরপুর রেলগেটের কাছে দুটি কাঁঠালগাছ কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এই প্রতিবেদক এগিয়ে যান। রেজাউল হক ও নুহুরুল হক পরিচয় দিয়ে দুজন জানান, তারা কাঁঠালের পাতাব্যবসায়ী। গাছের পাতা কাটছেন। গ্রামের কয়েকজন জানান, রেল বিভাগের একজনের অনুমতি সাপেক্ষে যার যার জমির সীমানা বরাবর যে কাজ তিনিই কেটে নিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রেল বিভাগের হাবিবুর রহমান নামের একজন প্রকৌশলী এসব গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন। ওই প্রকৌশলীর মোবাইলফোনে কল করা হয়। এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান পরিচয় দিয়ে তিনি মাথাভাঙ্গাকে বলেন, ‘লাইনের ধারের কিছু গাছ ও ডালপালার কারণে স্টেশন থেকে সিগন্যাল লাইট দেখা যায় না। ট্রেনের ড্রাইভারদেরও সমস্যা হয়। এ কারণে লাইনের ধারের গাছের ডালপালাগুলো কেটেছেটে দেয়ার নির্দেশনা আছে।’ তাহলে লাইনের ধার থেকে বেশ দূরে থাকা গাছগুলোও কেন অবৈধভাবে কেটে নেয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এভাবে কাটার কথা নয়। তারপরও যদি কেউ কেটে নেয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।’