ব্যক্তি স্বার্থ দূর করতে দরকার নীতির চর্চা

দেশে আশঙ্কাজনক হারে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণের মধ্যে সড়কে চলাচাল অনুপোযুগি যানবহন অন্যতম। শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধযান তো রয়েছেই। এর পাশাপাশি বৈধ যানবহনগুলোর মধ্যে কিছু চলাচলের উপযোগিতা হারালেও তা চলানো হ”েছ দিব্যি। এতে শুধু দুর্ঘটনাই বাড়ছে না, পরিবেশও মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হ”েছ। এরই মাঝে কালো ধোঁয়া ছড়ানো যানবহন জব্দের আদেশ দিয়েছেন উ”চ আদালত। জনস্বার্থে দ্রুত এ আদেশ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিপালন করা অতিব জরুরি।
এ ধরার বুকে বসবাসরত যারা তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকারভোগী প্রাণীর নাম মানুষ। যাদেরকে সকল জীবের শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। এ দাবি শুধু ধার্মিক নয়, বাস্তবিকও। যদিও সুবিধাভোগকারী এই শ্রেষ্ঠ জীবই ধরিত্রীকে কীভাবে দীর্ঘ বসবাসের উপযোগী রাখা যায় তা নিয়েও ভাবছে। বিভিন্ন পদক্ষেপও নি”েছ। সুফলও মিলছে। প্রত্যাশিত হ”েছ না। কেনো? ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থান্ধতা। বিশ্ব পরিসংখ্যানে আমাদের মতো দেশের তুলনায় উন্নতবলে দাবিদার ও এগিয়ে যাওয়া দেশগুলোই পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য অধিক দায়ি। এ ছবি দৃশ্যমান হয় তখন, যখন বিশ্ব মানচিত্র মেলে ধরা হয়। আর ¯’ানীয়ভাবে যে ছবি তারও দশা ক্রমশঃ কষ্টদায়ক হয়ে উঠছে। বিশেষ করে যে সমাজে যতো যান্ত্রিক কালো ধোঁয়া নির্গত হ”েছ সেই সমাজের শ্রেষ্ঠ জীবগুলোকে ততোটাই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগে অকাল মৃত্যু অনিবার্য হয়ে উঠছে। ফলে সু¯’ থাকতে হলে পরিবেশ স্বা¯’্যসম্মত রাখার যুদ্ধ ছাড়া বিকল্প নেই। এই যুদ্ধেরই অংশ, টিনের চিমনি গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটা মালিকদের অর্থদ-। গতকালও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় টিনের চিমনি ও টিনের টিমনির ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের প্রতিবেদন গুরুত্বের সাথেই ধরা হয়েছে। গতকালের পত্রিকারই তৃতীয় পৃষ্ঠায় উঠে এসেছে কালো ধোয়ার যান জব্দের জন্য উ”চ আদালতের আদেশযুক্ত প্রতিবেদন।
বলা হয়, সু¯’তা শ্রষ্ঠার অন্যতম নেয়ামত। অসু¯’ হলেই বোঝা যায় সু¯’তা কতটা প্রয়োজন। তা হলে নিশ্চিত অসু¯’তার দিকে ধাবিত হওয়া থেকে সু¯’ থাকতে হলে সকলকেই কি দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ নয়? উচিৎ। এটা বুঝেও তখনই অনুচিত ব্যাপকতা পায় যখন ব্যক্তি স্বার্থোন্ধতা প্রবণতায় রূপ নেয়। সেটাই যেনো এখন পদে পদে। তা না হলে বারণের পরও কীভাবে থাকে টিনের চিমনির ইটভাটা? কালো ধোঁয়া নির্গত করা যান চলে কীভাবে? ব্যক্তি স্বার্থ দূর করতে দরকার নীতির চর্চা।