স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় টাস্কফোর্সের মাদকবিরোধী পৃথক দুটি অভিযানে স্পিরিট ও গঁাঁজা গাছসহ দুজনকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলার দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় । কারাদন্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামের মৃত বাবর আলী ম-লের ছেলে আব্দুল মালেক ও সদর উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের পরিতোষ কুমারের স্ত্রী লিপিকা রাণী।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন ও হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক আকবর হোসেনসহ পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামে অভিযান চালান। এ সময় মৃত বাবর আলী ম-লের ছেলে আব্দুল মালেককে (৫০) তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়। একইসাথে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৩ ফুট লম্বা গাঁজাগাছ। পরে সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আব্দুল মালেককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান। পরে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে একই টিম অভিযান চালান সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারের প্রান্ত হোমিও হলে। এ সময় আটক করা হোমিও হলের মালিক হাসনহাটি গ্রামের পরিতোষ কুমারের স্ত্রী লিপিকা রাণীকে (৩৫)। একইসাথে উদ্ধার করা হয় ১৭৩ বোতল রেকটিফয়ার স্পিরিট। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন। গতকালই দন্ডপ্রাপ্ত দুজনকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।