স্টাফ রিপের্টার: একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউল সাধক খোদা বকস শাহের ৩০তম ওফাৎ দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জাহাপুরে মরমি কবির আখড়াবাড়িতে সাধু সঙ্গ ও লোকজ বাউল মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আখড়াবাড়িতে অবস্থিত খোদা বকস শাহের সমাধি চত্বর থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে কবির ভক্ত-অনুসারীরা তার জীবনী নিয়ে আলোচনা ও রচিত গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাড়াও, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়াসহ সারাদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীরা এই স্মরণোৎসবে অংশ নেন। উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল হক সাহান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ও প্রকাশনা সংস্থার পরিচালক আবু তাহের, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. হানিফ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা খান ও শহিদ খান। ভক্তদের মধ্যে মিলন শাহ, অন্তর সরকার, গঞ্জের শাহ , রেখা পারভীন ও আব্দুল লতিফ শাহ।
বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া বলেন, জাতীয় পর্যায়ে বহির্বিশ্বে পরিচয় দিতে গেলে লালন শাহের নাম প্রথমেই আসে। তিনি সম্প্রদায় সম্প্রীতির দর্শন রেখে গেছেন। লালন শাহের শিষ্যদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন খোদা বকস শাহ। লালনের পরিবর্তিতে খোদা বকস শাহ ৯৫০টি গান রচনা করেছিলেন। গানগুলো এখনও প্রকাশিত হয়নি। আমরা কাজ করছি। ৯৫০টি গান ফরিদপুরের আজমল শাহ, গঞ্জের শাহ, আমান শাহ ও তার ছেলে লতিফ শাহ গানগুলো করে থাকেন। খোদা বকস স্বকণ্ঠে গায়নি। বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার খোদা বকসের গানগুলো রেকর্ড করে প্রচার করে তাহলে প্রচার বাড়বে। তিনি শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন এবং বাংলা একাডেমি একুশে পদকে ভূষিত করেন। তার গানগুলো রেকর্ডিং করা যায় সেটা ভালো কাজ হতে পারে।
খোদা বকসের ছেলে আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, জাপান ও নরওয়ে থেকে মেহমানরা এসেছেন। দেশের প্রখ্যাত কবি সমুদ্রগুপ্ত, রাহাত খান ও শামসুর রাহমান এসেছেন। একুশে পদকপ্রাপ্ত খোদা বকস শাহ বিষয়ে মিডিয়ায় প্রচারণার কারণে এখন বিশ্বব্যাপী মানুষ জানতে পারছে।